স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ আগস্ট : আরও এক সাফল্য ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-র। মঙ্গলবার সফল রাজস্থানের পোখরানে সফল পরীক্ষা হল ম্যান প্রোটেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের। সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই মিসাইল অত্যন্ত হালকা ওজনের হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য। অত্যাধুনিক এই অস্ত্র সেনায় অন্তর্ভুক্ত হলে সেনাবাহিনীর শক্তি অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, একেবারে নিখুঁত নিশানায় শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক ও ভারী যানকে ধুলিস্যাৎ করতে বিশেষভাবে তৈরি এই মিসাইল। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অন্যান্য অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের তুলনায় অত্যন্ত হালকা এটি। যা একজন মানুষ কাঁধে বহন করে নিয়ে চালাতে পারেন। রাত ও দিন যে কোনও সময় ব্যবহার করা যাবে এটি। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, নয়া এই মিসাইল ২.৫ কিলোমিটার দুরত্ব পর্যন্ত নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এবং উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর ওজন ১৫ কিলোগ্রামেরও কম।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পাশাপাশি বর্তমানে ভারতের অন্যতম মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে চিন। লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসনকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। অতি দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল লাদাখে সেখানকার উপযোগী প্রতিরক্ষা সামগ্রী প্রস্তুত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে ডিআরডিও। সম্প্রতি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাদাখের শীতল মরুভূমিতে যুদ্ধের উপযুক্ত হালকা ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার তৈরি করেছে ডিআরডিও। অত্যাধুনিক এই জোরাওয়ার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে যাতায়াতে অত্যন্ত সাবলীল। নদী বা যে কোনওরকম বাধা পার হতে কোনও সমস্যা হবে না তার।
এর পর সাফল্যের সঙ্গে পাশ করা নয়া ম্যান প্রোটেবল অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল দেশের যে কোনও প্রান্তের পাশাপাশি লাদাখেও বিশেষ কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই মিসাইলের সফল পরীক্ষার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।