স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ জুন : উত্তর সিকিমে ভয়াবহ যান দুর্ঘটনায় নিখোঁজ দুই যুবককে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ত্রিপুরা সরকারকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানান সিকিম সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান ত্রিপুরা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পিকে চক্রবর্তী। তিনি জানান, গত ২৯ মে উত্তর-সিকিম ভ্রমণকালে একটি পর্যটকবাহী গাড়ি গভীর খাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ঊনকোটি জেলার কৈলাশহরের দুই যুবক দেবজ্যোতি দেব এবং স্বপ্ননীল দেব সহ মোট ১১ জন পর্যটক এই গাড়িতে ছিল বলে জানা গেছে।
রাজ্যের এই দুই যুবক এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বলে মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের গোচরে এসেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং ঘটনার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তী এই বিষয়ে দ্রুত সিকিম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব কে. এন. ভুটিয়ার সঙ্গে তিনি টেলিফোনে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধারের বিষয়ে খোঁজখবর নেন। ভুটিয়া আজ এক চিঠিমূলে জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়া, প্রবল বৃষ্টিপাত এবং তিস্তা নদীর জলের তীব্র গতির কারণে গভীর খাদ থেকে পর্যটকবাহী গাড়িটি তুলে আনা এবং যাত্রীদের উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স জোর তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সিকিম প্রশাসন থেকে জানা গেছে ওড়িশার দু’জন নাবালক যাত্রী কোনভাবে এক্ষেত্রে বেঁচে গেছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ির ভাঙ্গা অংশ কিছু উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাগ্রস্থ এই গাড়িতে থাকা রাজ্যের দু’জন পর্যটকের মধ্যে একজনের পিতা সহ এক আত্মীয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি. কে. চক্রবর্তীর কথাবার্তা হয়েছে। নিখোঁজ দুজনের পরিবার পরিজনরাও সিকিমে ছুটে গেছেন। এদিকে ঊনকোটি জেলার জেলাশাসক তমাল মজুমদার এনডিআরএফ-এর দলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত রাজ্যের দুজনসহ মোট ৯ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত সিকিম রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।