স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ আগস্ট : স্বাধীনতা দিবস মানে একটা বিশাল অনুভূতি, একটা শ্রদ্ধা ও আনন্দের উৎসব। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি গোটা দেশবাসীকে পালন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গোটা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও আজকে থেকে এই কর্মসূচি পালন করা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে মঙ্গলবার থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি বাড়িতে এবং প্রতিটি অফিসে এ জাতীয় পতাকা কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে।
মঙ্গলবার পরিবহন দপ্তরের উদ্যোগে নাগেরজলা মোটরস্ট্যান্ডে আয়োজিত ভেহিকেল র্যালীর উদ্বোধন করে এই কথা বললেন পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের জাতীয় পতাকাকে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে গিয়ে যে বীর সেনারা শহীদ হয়েছেন। যতবার এই ভারত বর্ষের উপর বিদেশি শক্তি আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে ততবারই দেশের বীর সেনারা দেশকে রক্ষা করতে হাসতে হাসতে জীবন বলিদান দিয়েছেন। তাই এই বীরদের সম্মান জানানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি এদিন অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে বলেন, যে মজিবরকে আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি, তাঁর মূর্তি আজ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
পার্লামেন্টে গিয়ে তালিবানি কায়দায় সারা বিশ্বকে নেতিবাচক বার্তা প্রদান করছে। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রী আবাসে গিয়ে পর্যন্ত নেক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে বোঝা যায় যেখানে গণতন্ত্র থাকে সেখানে এমনটা হতে পারে না। তাই বাংলাদেশ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, লক্ষ লক্ষ হিন্দুরা আজ জমায়েত হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তাই ভারতবর্ষের যে সংবিধান আমাদের মৌলিক অধিকার দিয়েছে, সুতরাং এমন কোন কথা বলা হবে না যাতে সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দেওয়ার নামে সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে।
এভাবেই যদি ক্ষমতা দখল করতে হয় তাহলে সংবিধান এবং গণতন্ত্রের কোন ব্যাখ্যা রইল না এবং এগুলির প্রয়োজনীয়তা রইল না। সুতরাং সজাগ থাকতে হবে শত্রুরা সদা জাগ্রত, চোখ কান খোলা রাখবেন। এ রাজ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা থাকতে হবে বলে জানান মন্ত্রী। পরে মন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে এই দিনের কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা পরিবহন দপ্তরের সচিব সহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও অন্যান্যরা।