স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ জুন : আগরতলা স্মার্ট সিটির কাজে দুর্নীতি হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাইলেন প্রদেশ সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, বিগত বছর আগস্ট মাসে ভয়াবহ বন্যার পর সর্বদলীয় বৈঠকে রাজ্য সরকারের কাছে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দাবি তোলা হয়েছিল, একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করে সহযোগিতা করার কোন উদ্যোগ নেয় নি।
পাশাপাশি কংগ্রেসের কোন প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বলেন, বিগত বছর বন্যার পর বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যবাসীর স্বার্থে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে সরকারের উদ্দেশ্যে গঠনমূলক কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য সরকার এগুলোর উপর কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সারারাজ্যে একই অবস্থা চলছে। অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সময়েও একই দৃশ্য লক্ষ্য করা যেত। বিশেষ করে বামফ্রন্ট সরকারের সময় দাবি করা হতো আগরতলা শহর নাকি একটি কড়াইয়ের মতো। যার কারণে জল বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই বলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এবং প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে এই কথাগুলি শোনাতেন। যাতে তাদের ব্যর্থতা আড়াল হয়।
কিন্তু বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল আগরতলা শহরে যাতে জল জমা না হয় তার জন্য প্রথমে ব্যবস্থা নেবেন। তৎকালীন সময়ে এক ব্যক্তি বলেছিলেন হাওড়া নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করা হবে, ওই ব্যক্তির এই কথার পেছনে কোন রকম বিজ্ঞানসম্মত দিক ছিল না। পরের দিন পত্রিকায় খবরের শিরোনাম হয়েছিল হাওড়া নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করে আগরতলা শহর জলমগ্ন থেকে রক্ষা করা হবে। এবং কেন্দ্র সরকার আগরতলা স্মার্ট সিটি জল নিষ্কাশনের জন্য টাটা নামক একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু টাটা সংস্থা দায়িত্ব নেওয়ার সময় বুঝে শুনে দায়িত্ব নিয়েছিল। ৩১ মে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও সেই বৃষ্টিতে আট ইঞ্চি জল জমা হওয়ার কথা। কিন্তু সেই জায়গায় কেন কোমর জল এবং বুক জল আগরতলা শহরে জমেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করেন সুদীপ। তিনি বলেন নিকাশি ব্যবস্থা দুর্বল থাকার কারণে এবং দিন দিন রাস্তার উচ্চতা বাড়ার কারণে ও মানুষের বাড়ি ঘরের উচ্চতা কমার কারণে জলমগ্ন হচ্ছে বহু বাড়ি ঘর। আরো বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত টাটা সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।