আগরতলা, ১৫ ডিসেম্বর (হি. স.) : দেশের খ্যাতনামা ফুটবলার তথা ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়াকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর নিযুক্ত করেছে এডিসি প্রশাসন। ত্রিপুরা জনজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় নেশা এবং এইডস-এর বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার তিপরা ফুটবল লিগের ফাইনাল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা করেছেন জেলা পরিষদের সদস্য প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন। এই দায়িত্ব পেয়ে ভাইচুং ভুটিয়া এডিসি প্রশাসন এবং রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আজ তিপরা ফুটবল লিগে গোমতি জোন এবং পশ্চিম জোনের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফাইনালে গোমতি জোন চ্যাম্পিয়ান হয়েছে। তাঁদের হাতে ট্রফি তুলে দিয়েছেন এডিসি-র উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন।
এদিন সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভাইচুং ভুটিয়া বলেন, এডিসি প্রশাসন এবং রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন আজকের এই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আজ এই লিগ টুর্নামেন্ট-এ মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে স্পষ্ট, ত্রিপুরায় ফুটবলের জগতে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। তাঁর মতে, পূর্বোত্তর বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন এবং ক্রীড়া ওই সমস্ত সমস্যার সমাধানের একমাত্র মাধ্যম।
ভাইচুঙের মতে, সকলকে ক্রীড়ার প্রতি অধিক মনোনিবেশ করা উচিত। বিশেষ করে যুবসম্প্রদায়কে ক্রীড়া জগতের প্রতি অধিকভাবে আকৃষ্ট করে তোলা খুবই জরুরি। কারণ, যুবপ্রজন্ম এবং তাঁদের উদ্যম এই অঞ্চলকে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, পূর্বোত্তর ড্রাগস এবং বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মের জন্য অনেক সমস্যায় রয়েছে। আশা করি, ত্রিপুরা জনজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ সমগ্র ত্রিপুরা এবং গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনে সক্ষম হবে এবং সকলে তা অনুসরণ করবে।
এদিন প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন বলেন, ত্রিপুরা নির্বাচন এবং সন্ত্রাসের জন্য সারা দেশে চর্চায় রয়েছে। কিন্তু আমরা চাইছি আমাদের যুবপ্রজন্ম অনুভব করুক এর বাইরেও জগত রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, নেশার প্রকোপ এবং এইডস-এর মামলা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছি। আমরা চাইছি, বহু মানুষ ক্রীড়া ক্ষেত্রকে ভবিষ্যত হিসেবে বেছে নিক। তাই, ভাইচুং ভুটিয়াকে আমরা এডিসি-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর নিযুক্ত করেছি।
আজ এই ফুটবল লিগে গোমতি জোন জয়ী হয়েছে। তারা ৩ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার পেয়েছে। রানার্স হয়েছে পশ্চিম জোন। তারা পেয়েছে নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং তৃতীয় স্থানাধিকারী দল পেয়েছে ৭৫ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার।