Wednesday, July 16, 2025
বাড়িরাজ্যযাদের হাতে ক্ষমতা, যাদের হাতে বন্দুক, তারাই আজ মানব সমাজে সবচেয়ে প্রভাবশালী...

যাদের হাতে ক্ষমতা, যাদের হাতে বন্দুক, তারাই আজ মানব সমাজে সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব : স্যন্দন সম্পাদক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ জুন :  বদলের বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়িতে ৮ জুন হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে সমগ্র বিশ্ব। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী কালিন সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু অবাক করার বিষয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ঘটনা নিয়ে এখনো কোন স্পষ্টীকরণ দেয় নি। স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ভূমিকা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়িতে হামলার ঘটনায় আঘাত লেগেছে বাঙ্গালীদের হৃদয়ে। বাংলাদেশে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের পৈত্রিক বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার ধিক্কার সভা করল অ্যাসেম্বলি অফ জার্নালিস্ট। এইদিন রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনের সামনে এই ধিক্কার সভা করা হয়।

এই ধিক্কার সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংবাদ জগতের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত তথা স্যন্দন পত্রিকা ও স্যন্দন টিভির কর্ণধার সুবল কুমার দে। তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যাদের হাতে ক্ষমতা যাদের হাতে বন্দুক, তারাই আজ সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্ব। এই পরিস্থিতি থেকে মানব জাতিকে উদ্ধার হতে হলে যে বিশ্ব নেতৃত্বের প্রয়োজন তারাই আজ অনুপস্থিত। আমেরিকা এবং রাশিয়ার মতো উন্নতশীল দেশ অস্ত্র বিক্রি করছে। যার কারনে বাংলাদেশের কাছারি বাড়িতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেতে হামলার ঘটনায় কোন প্রতিবাদ হয়নি। তবে এটাও ঠিক পৃথিবীর কোন দেশেই অত্যাচারীরা টিকে থাকতে পারেনি। ধিক্কার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রনব সরকার বলেন কারা কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে বুর্জুয়া বলেছিল তার আত্ম সমালোচনা করতে হবে। কেন সেই দিন কবি গুরুকে কটাক্ষ করা হয়েছিল। যারা কবি গুরুকে কটাক্ষ করেছিল। তারা বর্তমানে কোথায়? রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙ্গা মানে প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয়কে ভাঙ্গা। প্রতিটি বাঙ্গালীর হৃদয় বর্তমানে ক্ষোভে বিক্ষোভে ক্ষত বিক্ষত। মানুষ কার প্রতি প্রতিবাদ জানাবে। যিনি বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় বসে রয়েছেন তিনি স্বৈরাচার। যে সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে না। নজরুলকে স্বীকার করে না। কবি সুকান্তকে স্বীকার করে না। শেখ মুজিবুরকে স্বীকার করে না। সেই সরকার কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে স্বীকার করবে, এইটা বিস্ময়কর বিষয়। বাংলাদেশে মৌলবাদীদের উত্থান কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবা যায় না। তা ভাবলে ভয় হয়।এইদিনের ধিক্কার সভায় আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শানিত দেবরায়, আগরতলা প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য রণজিৎ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এইদিনের ধিক্কার সভায় কবি, সাহিত্যিক শিল্পীরাও সামিল হয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!