Friday, August 1, 2025
বাড়িজাতীয়ফের বিতর্কে NCERT-র পাঠ্যবই

ফের বিতর্কে NCERT-র পাঠ্যবই

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ জুলাই : গত কয়েক বছরে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক কাউন্সিল স্কুলশিক্ষার পাঠ্যক্রমে এমন সব পরিবর্তন এনে চলেছে যা নানাবিধ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এবার এনসিইআরটি-র অষ্টম শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান বইয়ে মুঘল সম্রাট বাবরকে ‘ক্রূর ও নির্দয়’ শাসক বলে বর্ণনা করা হল। মনে করা হচ্ছে এই বই ঘিরেও বিতর্ক জন্ম নিতে চলেছে। ওই বইয়ে আকবর ও ঔরঙ্গজেবের শাসনকালের কথাও রয়েছে।

জানা যাচ্ছে, ওই পাঠ্যপুস্তকে লেখা রয়েছে প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর ছিলেন ক্রূর ও নির্দয় শাসক। তিনি বহু জনপদের সমস্ত মানুষকেই হত্যা করেছিলেন। পাশাপাশি আকবরের শাসনকালকে নিষ্ঠুরতা ও সহিষ্ণুতার মিশ্রণ বলে দাবি করা হয়েছে। ঔরঙ্গজেব সম্পর্কে লেখা হয়েছে- তিনি বহু মন্দির ও গুরুদ্বার ধ্বংস করেছিলেন। সব মিলিয়ে মুঘল আমলের ধর্মীয় পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কথাই লেখা হয়েছে ওই বইয়ে।

তবে সেই সঙ্গেই বইয়ে রয়েছে সতর্কীকরণও। সেখানে বলা হয়েছে ‘ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়গুলি সম্পর্কে তথ্য এখানে দেওয়া হলেও অতীতের ঘটনার জন্য আজকের কাউকে দায়ী করা যায় না।’ প্রসঙ্গত, ‘এক্সপ্লোরিং সোসাইটি: ইন্ডিয়ান অ্যান্ড বিয়ন্ড’ নাম্নী অষ্টম শ্রেণির ওই বইয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে দিল্লি শাসন ও মুঘল আমল সম্পর্কে প্রথম পরিচিত করা হচ্ছে। আর তাতেই রয়েছে এমন বর্ণনা।

এনসিইআরটি-র পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বিতর্ক আজকের নয়। এর আগে তারা দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন এনে বলেছিল, সাম্প্রতিক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণাগুলি হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণ হিসাবে বহিরাগত আর্যদের ভারতে আগমন তত্ত্বকে নস্যাৎ করেছে। অর্থাৎ, আর্যদের দেখতে হবে ভারতের আদিবাসিন্দা হিসাবেই।

একইভাবে, ষষ্ঠ শ্রেণির ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে, এনসিইআরটি বীরসা মুন্ডার উপর একটি অধ্যায় থেকে ‘হিন্দু’ শব্দটি বাদ দিয়েছিল। আগের বইটিতে সেই অধ্যায়ে বলা হয়েছিল, বীরসা মুন্ডা মিশনারি ও হিন্দু জমিদারদের বিরোধিতা করতেন। বাক্যটি থেকে ‘হিন্দু’ শব্দটিকে বাদ দেওয়া হয়।

মূলত ইতিহাস বইগুলিতেই এমন ধরনের পরিবর্তন থেকে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এমন করা হচ্ছে। শক-হুন দল, পাঠান-মোঘল একদেহে লীন হয়ে নির্মিত ভারতের থেকে আলাদা একটা বক্তব্যই যেন তুলে ধরতে চাওয়া হচ্ছে। এমনটাই মনে করেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এমন প্রশ্নও উঠেছে, মানুষের সমষ্টিগত স্মৃতি থেকে কি এভাবে ইতিহাসকে মুছে ফেলা যাবে? নতুন পাঠ্যপুস্তক ঘিরেও এই বিতর্ক আরও দানা বাঁধবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!