স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ মে :শুক্রবার বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে কনভেনার মানিক দে সহ কয়েকজন নেতৃত্ব গল্পের গরু গাছে চড়িয়েছে। কারণ তাঁদের কাছে কোন ইস্যু নেই। বামফ্রন্ট নেতৃত্ব চাইছেন মানুষ মধ্যে বিভাজন তৈরি করার। কিন্তু রাজ্যের মানুষ এইগুলি গ্রহণ করছে না। শনিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বামফ্রন্টের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রদেশ বিজেপি -র মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, বামফ্রন্টের কনভেনার মানিক দে দাবি করেছেন, প্রকৃত রেগা শ্রমিকদের রেগার মজুরি নাকি মন্ডল অফিসের নেতৃত্ব ও স্থানীয় বিজেপি কার্যকর্তারা নিয়ে যায়। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ বামফ্রন্ট জামানায় ব্যাংকের সামনে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব চেয়ার নিয়ে বসে থাকতেন। রেগা মজুরি থেকে তাদের ভাগ দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে রেগা মজুরি সরাসরি শ্রমিকদের ব্যাংকে ট্রান্সফার করা হয়। আরো বলেন, বামফ্রন্টের জামানায় নেশার সাম্রাজ্য তৈরি হয়েছিল। তাদের সময় নেশা সামগ্রী আটক হলে সেগুলি কোথায় যেত তার কোন হদিস ছিল না। কিন্তু বর্তমানে নেশা সামগ্রী আটক হওয়ার পর সেগুলি কোথায় যায় সে বিষয়ে প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন করতে পারেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নেশা সামগ্রীর সাম্রাজ্য ভেঙে চুড়ে জনগণকে নিয়ে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার জন্য কাজ করছে। বিশেষ করে বর্তমান ধর্মনগর থেকে সাব্রুম পর্যন্ত যারা নেশার সাথে জড়িত তাদের পুলিশ দ্বারা গ্রেফতার করে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এবং তাদের আইনত কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সেটা মহামান্য আদালত নির্দিষ্ট করেন। তিনি আরো বলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছেন কেন মন্ত্রী বিধায়করা অফার তুলে দিচ্ছেন চাকরি প্রাপ্যদের হাতে। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির ষ্পষ্টিকরণ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে চাকুরী দেওয়ার নিয়ে সরকারের এক শতাংশ দুর্বলতা নেই। এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৯৪২ জনকে স্বচ্ছতার নিরিখে চাকরি দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে চলেছে সেটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বেকারদের নিয়ে রাজনীতি করার জন্য বামফ্রন্টের কোন সুযোগ থাকবে না। তাই বামফ্রন্টের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের স্যন্দন পত্রিকা তুলে ধরে বলেন, তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের সময় খবরের কাগজে প্রকাশিত হয়েছিল অফার কেলেঙ্কারি জন্য জুতোপেটা শুরু। কিন্তু বর্তমানে তারা আবার অভিযোগ করছে রাজ্যে কাজ নেই, খাদ্য নেই। কিন্তু যারা রাজ্যে ৩৫ বছর নৈরাজ্য স্থাপন করেছিলেন তারাই এখন ইতিবাচক কিছু দেখছে না। বিভ্রান্ত তৈরি করার জন্য প্ররোচনা করছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, সার্বিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নীতি নিয়ে সরকার কাজ করে চলেছে জনগণের জন্য। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি -র নেতৃত্ব।