স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৪ মে : সময় পেরোচ্ছে। দেশ ফুঁসছে। ভাঙছে ধৈর্যের বাঁধ। পহেলগাঁও হামলার বদলা আর কবে? প্রশ্ন যেমন জোরাল হচ্ছে, তেমনই জোরাল হচ্ছে প্রস্তুতিও। একদিকে দিল্লিতে একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে সেনা প্রস্তুত হচ্ছে যুদ্ধের জন্য।
শনিবারই কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের বিষয়বস্তু রীতিমতো সিক্রেট রাখা হয়েছে। এরপরই রবিবার সকালে বায়ুসেনা প্রধান অমলপ্রীত সিং এবং বায়ুসেনার অন্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ বায়ুসেনার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের। তবে এই বৈঠকের বিষয়বস্তুও সিক্রেট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে বায়ুসেনা ইতিমধ্যেই পাক সীমান্তে মহড়া শুরু করেছে।
আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারত পুরোপুরি যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। জব্বলপুরের খামারিয়ার অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টারির কর্মীদের ছুটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই অস্ত্র কারখানার যেসব কর্মী আগে থেকে ছুটিতে রয়েছেন, তাঁদেরও জরুরি ভিত্তিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আগামী দিনেও কোনও কর্মীকে ছুটি দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্র তৈরির কাজটা শুরু করে দিল ভারতীয় সেনা?
উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার পর ১২ দিন পেরিয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার বা নিকেশ করা যায়নি। এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরণ ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসবের মধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে কার্যত যুদ্ধের মেজাজে ভারত।