স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৫ এপ্রিল :রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড়ো দুর্নীতির অভিযোগ তুললো চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। শুক্রবার আগরতলা এজি অফিসে গিয়ে চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটি প্রতিনিধি দল ডেপুটেশন প্রদান করে। তারপর তাদের মধ্যে উপস্থিত চাকুরিচ্যুত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গুরুতর অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, ২০২০ সালে জোর করে শিক্ষা দপ্তর চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
অথচ এখন পর্যন্ত কোন টার্মিনেশন লেটার দপ্তর চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের দেয়নি। তথাপি সরকারি খাতায় ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নাম ছিল এবং বেতনের ব্যাংক একাউন্ট গুলি সক্রিয় ছিল। এমনকি চাকরি চলে যাওয়ার পর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১০,৩২৩ -এর এক শিক্ষিকার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ট্যাক্স কাটা হয়েছে। এরও প্রমাণ রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন ১০,৩২৩ -এর বেতন নিশ্চয়ই আসছে। আবার কিছুদিন আগে খবর প্রকাশ হয়েছে শিক্ষা দপ্তরের একজন অফিসার দক্ষিণ ত্রিপুরার কোন একটি বিদ্যালয়ের ১০,৩২৩ -এর বেতন তুলে নিয়েছন।
এই ঘটনাগুলি এক গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত করছে। সুতরাং রাজ্যে একটি বড়সড় কেলেঙ্কারি চলছে। এক হাজার কোটি টাকার অধিক টাকা রাজ্য সরকার তুলে নিচ্ছে। এর সাথে কোন মন্ত্রী এবং আমলারা জড়িত সেটা তদন্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি আগে হয়নি। তাই সিবিআই তদন্তে দরকার রয়েছে। এর সাথে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জড়িত আছে। তারা সবকিছুই জানে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ব্যাংক একাউন্ট গুলি বন্ধ করার পেছনে মূলত কারণ নির্দেশ রয়েছে জানতে চায় ১০৩২৩। কারণ মামলা এখনো হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। অর্থাৎ যতক্ষণ না পর্যন্ত আদালত থেকে কোন শুনানি হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করা যায় না। এর জবাব না পাওয়া গেলে খুব দ্রুত এজি অফিস, রাজ্য সরকারের অধিকর্তা এবং শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ার দেন। এদিনের প্রতিনিধি দলে চাকরিচ্যুত শিক্ষক কমল দেব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।