স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৩০ জানুয়ারি : ষোড়শ অর্থ কমিশনের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেসের দুই সদস্য কমিশনের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে একটি স্মারক লিপি তুলে দেওয়া হয় ষোড়শ অর্থ কমিশনের সদস্যদের হাতে। পাশাপাশি রাজ্যের স্বার্থ সম্বলিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিষয়ে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা। সাংবাদিক সম্মেলন তিনি আরও জানান রাজ্যের আর্থ সামাজিক অবস্থার কথা তুলে ধরা হয় ষোড়শ অর্থ কমিশনের সদস্যদের সামনে।
রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য অত্যন্ত দুর্বল। তাই রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে রাজস্ব বরাদ্দের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট ৫০ শতাংশ বরাদ্দ করার দাবি জানানো হয়। রাজ্যের ঋনের বোঝা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে রাজ্যের উন্নয়ন ক্রমশ থামকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আশিস কুমার সাহা। রাজ্যের বিভিন্ন নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে নদীর দুই পারে বাঁধ নির্মাণের জন্য ষোড়শ অর্থ কমিশনের নিকট প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা। তিনি আরও বলেন সরকার অধিগৃহীত সংস্থা গুলিতে অনুদানের পরিমাণ বৃদ্ধি, এডিসি এলাকার জন্য অধিক অর্থ বরাদ্দ করার বিষয়ে দাবি জানানো হয়েছে।
অর্থ কমিশনের অর্থ সরাসরি স্বশাসিত সংস্থা গুলিকে প্রদান করার দাবি জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সপ্তম পে কমিশন অনুযায়ী যে সকল সুযোগ সুবিধা সরকারি কর্মচারীরা পাওয়ার কথা ছিল এখনো তারা তা পায় নি। অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ প্রক্রিয়া রাজ্যে এক প্রকার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এই অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণ করা ন হলে তারা অষ্টম বেতন কমিশনের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা অসন্তোষ। তাই ত্রিপুরা রাজ্যে পুরাতন পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবি জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা। রাজ্য সরকারের অধিন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রায় ২৮ হাজার শূন্য পদ পরে রয়েছে বলে দাবি করেন আশিস কুমার সাহা। তিনি আরও বলেন আউট সোরসিং-এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। সরকারি শূন্য পদ বিলুপ্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সংরক্ষণ নীতি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই বিষয় গুলি ষোড়শ অর্থ কমিশনের সামনে তুলে ধরে ১২ টি প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে জানান আশিস কুমার সাহা।