স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ ফেব্রুয়ারি : পর পর তিনবার ভারতের ভোটে মার্কিন অর্থ সাহায্যের দাবি করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, শুক্রবার ভারতের একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম তাদের তদন্তমূলক সংবাদ পেশ করে ভারতের ভোটে আমেরিকার আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে। একই সঙ্গে ট্রাম্প এবং ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এমন দাবি জানানোয় জটিলতা বেড়েছে। আবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, ভারত ও আমেরিকার মাঝে এমন কোনও লেনদেনই হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম দু’টি দাবি উড়িয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, ২০০৮ সাল থেকে ভারতের ভোট বিষয়ক কোনও কার্যক্রমের জন্য আমেরিকা কোনও অর্থসাহায্য করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে পুরোপুরি উড়িয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এ হেন পালটা দাবিও নজর কাড়ছে বাইরের দুনিয়ার। শুক্রবার অবশ্য আমেরিকার গভর্নরদের কার্যনির্বাহী অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ফের অনুদান প্রসঙ্গ টেনে আনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে ভারতের নির্বাচনে ২ কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়ে তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী মোদির দেশে ১৮২ কোটি টাকা যাচ্ছে। কিন্তু ভারতের ভোটে ভারতের ভোটারদের উপস্থিতি বৃদ্ধির করে আমাদের কী হবে? আমিও চাই ভোটারদের বুথমুখী করতে। কিন্তু সেটা আমার দেশের জন্য।”
এর আগের ভোটের বাজারে ভারতে সাহায্য পাঠানোর কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। যা নিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়। এদিন ফের সেই একই প্রসঙ্গ টেনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে পূর্বতন জো বাইডেন প্রশাসন এই অনুদান দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধেই তোপ দেগে চলেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট। এ প্রসঙ্গে তিনি আগেও ভারতকে নিশানা করে তিনি বলেছিলেন “ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য ২.১০ কোটি ডলার কেন আমরা ব্যয় করব? ভারতের ভোট নিয়ে আমরা কেন মাথা ঘামাব? এতগুলো টাকা ভারতে যাচ্ছিল, আপনারা ভাবতে পারছেন?” এরপরই উঠেছে সেই গুরুতর প্রশ্ন যা তোলপাড় করছে ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্র।