স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ ফেব্রুয়ারি : অফিস যাবেন, অথচ দেরি হয়ে গিয়েছে। দ্রুত গাড়িতে বসে ড্রাইভারকে বললেন তাড়াতাড়ি চালাতে। আর অমনি গাড়ি চোঁ চোঁ করে শূন্যে ভেসে এগিয়ে চলল গন্তব্যের দিকে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের পরিকে টুকি দিয়ে আপনি এগিয়ে গেলেন কর্মস্থানের উদ্দেশে! নিচে জমির পৃথিবীতে জ্যাম আছে নাকি নেই, তাতে থোড়াই কেয়ার! না, কোনও কল্পবিজ্ঞান কাহিনি নয়, বাস্তবিকই এই অভিজ্ঞতা হতে পারে আপনার। অন্তত তেমনই স্বপ্ন দেখাচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ার ‘আলেফ অ্যারোনটিক্স’ নামের সংস্থা। তাদের দাবি, একেবারে শহুরে পরিবেশে তারা আকাশে গাড়ি ওড়াতে সক্ষম হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই সফল পরীক্ষাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
২০১৫ সালে স্থাপিত হয়েছিল ওই মার্কিন সংস্থা। সদর দপ্তর সান মেটেওতে। প্রথম থেকেই তাদের উদ্দেশ্য এমন গাড়ি তৈরি করা যা উল্লম্ব ভাবে আকাশে উড়বে। এবং সামনের দিকে এগিয়ে চলবে শূন্যপথে। সম্প্রতি তাদেরই পরীক্ষা নিরীক্ষার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে আকাশপথে গাড়ির উড়ান। ঠিক যেন হ্যারি পটারের ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার অফ সিক্রেটস’ উপন্যাসের কথা মনে পড়ে যায়। সেখানেও ছিল এমন দৃশ্য। কিন্তু সে তো কাল্পনিক কাহিনি। এটা নিখাদ বাস্তব। যা ভবিষ্যতে পরিবহণের নয়া ছবিটাই তুলে ধরছে বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে এই পরীক্ষা খুব সহজ ছিল না। রীতিমতো রাস্তাঘাট জনহীন করে তবেই পরীক্ষা করা হয়েছে। কাছাকাছি কোনও মানুষকে দেখা যায়নি। সমস্ত নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখা দেখা গিয়েছে পরীক্ষা সম্পূর্ণ সফল। আর তাতেই উৎফুল্ল নির্মাতারা। আপাতত আলেফের পরিকল্পনা, মডেল জেড গাড়ি বাজারে আনার। যেখানে একসঙ্গে চারজন শূন্যে উড়তে পারবেন। এই গাড়ি ২০৩৫ সালের মধ্যেই বাজারজাত করাই লক্ষ্য তাদের। স্বয়ংক্রিয় মোডে চলবে এই গাড়ি। শূন্যে উড়তে পারবে ২০০ মাইল। সব মিলিয়ে চলতে পারবে ৪০০ মাইল। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার অন্য উড়ন্ত গাড়ির মডেল- মডেল এ কিন্তু সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। মূল্য ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার।