Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যজেলা দিব্যাঙ্গ পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করছেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, অসহায় দিব্যাঙ্গ...

জেলা দিব্যাঙ্গ পুনর্বাসন কেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করছেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, অসহায় দিব্যাঙ্গ মানুষ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি : বিকাশ ত্রিপুরায় মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রশাসনিক কাজকর্মের। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী দিয়ে চলছে গোটা অফিস। এই দৃশ্য সিপাহীজলা জেলার দিব্যাঙ্গ পুনর্বাসন কেন্দ্রের। অফিসে বিভিন্ন বিভাগে কর্মী থাকার কথা থাকলেও নেই কোন বিভাগই কর্মী। শুধুমাত্র রয়েছেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নীতিশ নমঃ। তার কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান প্রতিদিন নিয়মিত অফিস খোলার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছে।

 সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে চলেছেন তিনি। কিন্তু অফিসের কোন বিবাগী কর্মী নেই। যে দুজন কর্মী অফিসে ছিলেন তারাও আগরতলায় সার্টিফিকেটের জন্য রয়েছেন। তার কাছ থেকে আরও জানা যায় সিএমও অফিস থেকে তাকে অফিস খোলার জন্য বলেছে। অফিসের ডি ডি আর ও নিলয় দাসও সি এম ও অফিসের দায়িত্ব পালন করেন। কেউ কোন সমস্যা নিয়ে অফিসে আসলে তাদের ফোন নাম্বার রাখা হয়। এবং তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় পরবর্তী সময়ে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। এমনটাই বলে আর কোন কিছুই মুখ খুলতে চান নি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী। অথচ কোনরকম কাজকর্ম হয় না অফিসে। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে শারীরিকভাবে দুর্বল অংশের মানুষ এসে সুযোগ সুবিধা নিতে চাইলেও তারা এ বিষয়ে কোন কিছুই অবগত হতে পারছে না। বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তারা।

গোটা বিষয়ে জেলাশাসক, দপ্তরের আধিকারিক থেকে শুরু করে সকলেই অবগত রয়েছেন। কিন্তু সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সুশাসন পৌঁছে দেওয়া জন্য কোন মাথা ব্যাথা নেই কারোর। সুতরাং উন্নয়ন এবং সমাজের অন্তিম ব্যক্তির পর্যন্ত সুশাসন পৌঁছে দেওয়া এক গল্প মাত্র। বাস্তবে রাজ্যের গ্রাম অঞ্চলের মানুষ প্রত্যক্ষ করছে তাদের দুর্দশার চিত্র। রাম আমলে যেভাবে মর্জি মাফিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালিত হয়েছিল সেই পথেই গত সাত বছর ধরে এগোচ্ছে রাষ্ট্রবাদী দলের সুশাসন। অথচ সাত বছরে মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন ভাতা লাফিয়ে বেড়েছে দুবার। তাদের পাশাপাশি আমলারা প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করার সঙ্গে ব্যক্তিগত সুবিধাও ভোগ করছেন। আলিশান গাড়ি ব্যবহার করে হাই ফাই বাবুরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বক্তব্য চড়াও করছে। কিন্তু অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সুশাসন পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নেই জনদরদী মন্ত্রী বিধায়ক থেকে শুরু করে আমলা বাবুদের। এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য