স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৩ ফেব্রুয়ারি : সংস্কারের নামে ক্রমশ নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার নির্বাচনে ইউনুসের প্রবল ‘অনীহা’ ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। তবে তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এই ‘গয়ংগচ্ছ’ মনোভাবের মাঝে নির্বাচন কমিশন শোনাল অন্য খবর। সুপারিশে তারা জানিয়েছে, আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিকভাবে সেই সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘‘জুলাইতে গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে কার্যত কোনও স্থানীয় সরকার নেই। তবে এই মুহূর্তে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। নয়ত নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।’’ বর্তমানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালুর সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী, ‘‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনও সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন তা হয়েছে।’’
এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদে স্থায়ী কোনও প্রশাসন নেই। অন্তর্বর্তী প্রশাসন কাজ চালাচ্ছে। আর তার নিরিখেই নির্বাচন কমিশন জানাল, পাঁচটি স্তরেই একসঙ্গে ভোট করা সম্ভব। তবে তার জন্য তিনমাস সময় লাগবে, জুনে নির্বাচন হতে পারে বলে পরামর্শ কমিশন কর্তাদের। আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে একটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে পাঁচ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করেছে সংস্কার কমিশন। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এনিয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভব হবে।