স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি সিকিউরিটি গার্ডের সংস্থা। রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল এবং দ্বিতীয় রেফারেল হাসপাতালে এই সংস্থাগুলির কর্মীরা দায়িত্ব পেয়ে সরকারকে এক প্রকার ভাবে কালিমা লিপ্ত। হাসপাতালে আসা রোগী এবং রোগীর পরিবারদের উপর সিকিউরিটি গার্ডরা আক্রমণ নামিয়ে আনছে। তাদের দুর্বৃত্তপনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে রোগীর পরিবার পরিজন বলে অভিযোগ। কিন্তু কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। হাসপাতাল গুলিতে নামে বেনামী কিছু সিকিউরিটি গার্ডের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব খালাস করে নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।
যার কারণে আবারো রক্তাক্তের ঘটনা ঘটলো আই জি এম হাসপাতালে। হাসপাতালে পশ্চিম প্রতাপগড় এলাকার বাসিন্দা গৌতম চক্রবর্তীর নয় মাসের শিশু ভর্তি। শনিবার রাতে শিশুটিকে দেখতে এসেছিল তার কাকা উদয় চক্রবর্তী। উদয় চক্রবর্তী হাসপাতালে আসার সময় পকেটে মদের বোতল ছিল। কিন্তু হাসপাতালে প্রবেশ করার সময় মদের বোতলটি পকেট থেকে বের করে বাইরে আবর্জনায় ফেলে দেয়। বিষয়টি নজরে আসে হাসপাতালে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের। তখন তারা উদয় চক্রবর্তীকে ঘিরে ধরে সাইকেলের হাওয়া ছেড়ে দেয়। তারপর উদয় চক্রবর্তী কিছুটা লজ্জিত হয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে আসার সময় তাকে এবং তার ভাই গৌতম চক্রবর্তীর উপর অতর্কিত হামলা করে হাসপাতালে ১০ থেকে ১২ জন সিকিউরিটি গার্ড। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে পরবর্তী সময় হাসপাতালের মাতবর এর সিকিউরিটি গার্ডরা উদয় চক্রবর্তী এবং গৌতম চক্রবর্তীকে টেনে চক্ষু বিভাগে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করেছে বলে অভিযোগ গৌতম চক্রবর্তীর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ। পুলিশ বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে এ ধরনের দুর্বৃত্তপনা সৃষ্টি করে রেখেছে কিছু উচ্ছৃংখল সিকিউরিটি গার্ড। মানুষ তাদের আতঙ্কে হাসপাতালে যাওয়া ছেড়ে দেওয়ার উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে বলে এমন নয় যে তাদের হাতে আইন তুলে নেওয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হল কেন স্বাস্থ্য দপ্তর টেন্ডার দিয়ে এ ধরনের দুর্বৃত্তদের হাসপাতালে রেখেছে? পেছনে মূলত উদ্দেশ্য কি? কেন ভূমিকা নিচ্ছে না হাসপাতালের মেডিকেল সুপারেনটেনডেন্ট। সবকিছু হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে শুরু করে আধিকারিকদের জানা থাকলেও তারও অদৃশ্য কারণে মুখে কুলু এঁটে রেখেছে। এমনটাই গুঞ্জন রোগীর পরিবার-পরিজনদের মধ্যে। এখন দেখার বিষয় যারা এ ধরনের দুর্বৃত্ত হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব পালন করছে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর।