Wednesday, December 4, 2024
বাড়িরাজ্যমায়ের গমন এবং শারদ সম্মান-২০২৪ -এর স্থান পরিবর্তন, পরিবর্তন হয়েছে কার্নিভালের রোড...

মায়ের গমন এবং শারদ সম্মান-২০২৪ -এর স্থান পরিবর্তন, পরিবর্তন হয়েছে কার্নিভালের রোড ম্যাপ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ সেপ্টেম্বর : রবিবার রাজধানীর মুক্তধারা অডিটরিয়ামে মায়ের গমন এবং শারদ সম্মান-২০২৪ -এর পর্যালোচনা মূলক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক ডাঃ বিশাল কুমার, আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার শৈলেস কুমার যাদব, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার কিরন কুমার কে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি.কে চক্রবর্তী, দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিক এবং বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধি। বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিকতার ছুয়ার মানুষের চিন্তা ধারারও পরিবর্তন হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা মায়ের গমন অনুষ্ঠানের জন্য তুলসীবতি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনের জায়গাটি প্রস্তাব করেছিলেন। সেই প্রস্তাব বিভিন্ন ক্লাব সমর্থন করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়ে ইতিমধ্যে দপ্তরের পক্ষ থেকে জায়গাটি পরিদর্শন করা হয়েছে। মায়ের গমন অনুষ্ঠানের জন্য স্থান পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে রাস্তারও কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। সকলের সাথে আলোচনা করে সেই রাস্তা ঠিক করা হয়েছে। মায়ের গমন অনুষ্ঠানে যে সকল ক্লাব অংশগ্রহণ করবে, তাদেরকে ডিজে সাউন্ড ব্যবহার না করার জন্য আহ্বান জানান মেয়র দীপক মজুমদার। ডিজে সাইন্ড ব্যবহারের পরিবর্তনে দেশের সংস্কৃতি ও পরম্পরাকে তুলে ধরার পরামর্শ দেন তিনি। ডিজে সাউন্ডের ফলে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। নিজে আনন্দ করতে গিয়ে অন্যের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র দীপক মজুমদার। তিনি আরও বলেন দশমী ঘাটে প্রতিমা নিরজ্জন করার জন্য বর্তমানে কোন ধরনের শ্রমিক নিয়ে যেতে হয় না। এমনকি কোন ধরনের সাউন্ড বাদ্য যন্ত্র দশমীঘাটে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে দশমীঘাটে ৫০ জোড়া ঢাকের ব্যবস্থা করা হবে। তার পাশাপাশি উলুধ্বনির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তিনি। অপরদিকে বৈঠকে আলোচনা করতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য বলেন মায়ের গমন অনুষ্ঠানের জন্য রাস্তা নির্ধারণ করতে গিয়ে আগরতলা শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকার পূজা গুলিকে ৯ টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। রামনগর, অভয়নগর সহ তার পার্সবর্তি এলাকার ক্লাব গুলি মূর্তি নিয়ে কের চৌমুহনীতে জড়ো হবে। সেখান থেকে ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী আসবে।

সেখান থেকে আইজিএম চৌমুহনী, আরএমএস চৌমুহনী, ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, রবীন্দ্র ভবন, দুর্গাবাড়ি হয়ে তুলসীবতি স্কুলের সামনে আসবে। কৃষ্ণনগর, কর্নেল চৌমুহনী, হারাধন সংঘ সহ তার পার্সবর্তি এলাকার পুজার মূর্তি গুলি প্রথমে কর্নেল চৌমুহনীতে জড়ো করা হবে। সেখান থেকে বিদুরকর্তা চৌমুহনী, রবীন্দ্র ভবন, দুর্গাবাড়ি হয়ে তুলসীবতি স্কুলের সামনে আসবে। কুঞ্জবন, রাধানগর, জিবি সহ তার পার্সবর্তি এলাকার মূর্তি গুলি প্রথমে সার্কিট হাউসের সামনে জড়ো করা হবে। সেখান থেকে রাধানগর, উত্তরগেইট, বোধজং চৌমুহনী, মহিলা মহাবিদ্যালয়, লক্ষ্মীনারায়ন বাড়ি হয়ে তুলসীবতি স্কুলের সামনে নিয়ে আসা হবে মূর্তি গুলি। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিরা প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে সহমত পোষণ করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য