স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ মে : সন্তান বিক্রি নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। সোমবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিরোধী দলনেতার বিভ্রান্তিকর চিঠির মুখ্য জবাব দিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ২৫ মে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী মুখ্যসচিব জে কে সিনহা এবং ধলাই জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে দাবি করেন গন্ডাছড়ার তারাবন কলোনির বাসিন্দা মোরমারী ত্রিপুরা ৫০০০ টাকার বিনিময়ে সন্তান বিক্রি করেছে।
তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, মোরমারী ত্রিপুরার সন্তান বিক্রির প্রমাণ করে রাজ্যে সুশাসন নেই। এবং দাবি করেছেন অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। তারপর মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। তারপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হয় মোরমারী ত্রিপুরার স্বামী পূণ্যজয় ত্রিপুরার মৃত্যু হয় গত ছয় মাস আগে। উনার বড় ছেলে ব্যাঙ্গালোরে চাকরি করে, দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বাকি ছেলে মেয়েরা পড়াশোনা করছে। কিন্তু এবার যে সন্তানটি হয়েছে সেটা ওনার ষষ্ঠ সন্তান। তারপর জেলা প্রশাসন থেকে অবগত হয়েছে মোরমারী ত্রিপুরার পরিবার সরকারি রেশনিং সমস্ত সহযোগিতা পাচ্ছে। কিন্তু জানা গেছে উনার স্বামী যখন মারা যায় তখন তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তারপর তিনি চেয়েছিলেন যাতে এ সন্তান জন্ম না হয়।
এ বিষয় নিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান গর্ভে সন্তান ইতিমধ্যে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। তারপর গত ২২ মে এই সন্তানের জন্ম হয়। তারপর ২৩ মে তিনি স্বইচ্ছায় হেজামারার বিনয় কুমার দেববর্মার কাছে প্রস্তাব পাঠায়। তারপর এতে চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট অফিসার ও ডেপুটি কালেক্টর হস্তক্ষেপ করে, তারপর আইনের জটিলতার কারণে দত্তক নিতে পারেনি। তারপর অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও শিশু সুরক্ষা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে মোরমারি দেববর্মাকে কুলাই হাসপাতালে পাঠায়। চাইল্ড লাইন, শিশু সুরক্ষা কমিশন ও প্রশাসনের সক্রিয়তার কারনে এইটা হয়নি। তার অর্থ এমন নয় অভাবের কারনে মা তার সন্তানকে বিক্রয় করে দিয়েছেন। সুতরাং বিরোধী দলনেতা এ ধরনের মন্তব্য সম্পন্ন ভিত্তিহীন বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। এমন নয় যে সিপিআইএম -এর মতো সমালোচনা শুনতে পারে না। এদিকে, রাধানগর মোটর স্ট্যান্ডে বাস চালককে মারধরের ঘটনা নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন সোমবার রাধানগর স্ট্যান্ডের সোসাইটির দায়িত্ব প্রাপ্ত পদাধিকারি, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার, ট্রাফিক এসপি, পরিবহন কমিশনার সহ অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের কারনে সাধারন মানুষ ভোগান্তির শিকার হবে, এইটা কোন অবস্থায় মেনে নেওয়া হবে না। সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে, এইটা মেনে নেওয়া হবে না।