স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মার্চ : অবশেষে যাত্রাপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসকে জালে তুলতে সক্ষম হল। অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনে দায়ী তিনি। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি স্বামীর মারধরে গুরুতর আহত হয়েছিলেন পলি রানী বণিক। তারপর বাপের বাড়ির লোকজনেরা তাকে চিকিৎসা করায়।
কিন্তু স্বামীর মারধরে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থতায় ভুগছিল গৃহবধূ। চিকিৎসায় সাড়া উঠছিল না। মাথা ব্যাথায় ছটফট করত প্রায়ই। গৃহবধূর পিতা আরো জানান, গৃহবধূর বাপের বাড়ি যাত্রাপুর থানার উত্তর মহেশপুর স্কুলটিলা এলাকায়। গৃহবধু একটি আড়াই বছরের সন্তান রয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পুলিশ দুর্বল ধারায় মামলা নেয়। সুষ্ঠু তদন্ত হয় নি।
এদিকে গৃহবধূকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য তার স্বামী হুমকি দিতে থাকে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী সঞ্জয় দাস পলাতক ছিল। অবশেষে পুলিশ তাকে জালে তুলেছে।