স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ মার্চ : রাজধানীর মাস্টার পাড়া এলাকায় রাতের বেলা আশা কর্মীকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করল রাজীব সাহা ও তার স্ত্রী দুজন। আশা কর্মীর নাম লক্ষ্মী দেবনাথ পাল। প্রতিবাদে সোমবার পশ্চিম আগরতলা থানায় গিয়ে জড়ো হয় আশা কর্মীরা। দাবি জানায় অভিযুক্ত দুজনের কঠোর শাস্তি। হেনস্তার শিকার হওয়া আশা কর্মী কাছ থেকে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি আশা কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
তারপর তিনি রাজধানীর মাস্টার পাড়া এলাকার দায়িত্ব পায়। সে অনুযায়ী মাস্টারপাড়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করার জন্য এলাকায় সার্ভে করতে যায়। এলাকার রাজীব সাহার বাড়িতে সার্ভে করার পর কয়েকদিন পরে জানতে পারেন বাড়ির এক শিশুর পোলিও নিতে পারে নি। তারপর উনার সাথে দেখা করার পর সাব সেন্টার থেকে পোলিও নেওয়ার জন্য বলেন আশা কর্মী। যথারিতি সাব সেন্টার থেকে গিয়ে পোলিও নেয় রাজীব সাহার পরিবারের সেই শিশুটি। তারপর কয়েকদিন পর রাজীব সাহার বাড়ির দুই ভাড়াটিয়া পরিবার আশা কর্মীর বাড়িতে যায়, আশা কর্মীকে জানান, তাদের বাচ্চার নয় বছর নয় মাস হয়ে গেছে, কিন্তু তিন মাসের পোলিও নিতে পারেনি। তাদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয় জগহরি মুড়া সাব সেন্টার যাওয়ার জন্য।
এবং সেখানে গিয়ে যথারীতি পোলিও নিয়ে আসে। তারপর আশা কর্মী বাড়ি ফেরার সময় রাজিব সাহা মাঝ রাস্তায় আশা কর্মীকে আটকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বলে তাদের বাড়ি শিশুদের নাম কেটে দেওয়ার জন্য জানায়। এরই মধ্যে রাজীব সাহার বাড়ির দুই ভাড়াটিয়ার শিশু গতকাল অর্থাৎ রবিবার পালস পোলিও নিয়ে আসার পর রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ রাজীব সাহা আশা কর্মী বাড়িতে গিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তারপর ঘর থেকে বের হয়ে আসার পর আশা কর্মী এবং আশা কর্মীর মেয়েকে মারধর করে অভিযুক্ত রাজীব সাহা এবং তার স্ত্রী বলে অভিযোগ। তারপর খবর দেওয়া হয় পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে ঘটনার স্থল পরিদর্শন করে আসে। কিন্তু কাউকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করায় শেষ পর্যন্ত আশা কর্মীরা জড়ো হয়ে পশ্চিম আগরতলা থানায় যায়। পুলিশের কাছে দাবি জানায় দ্রুত অভিযুক্ত এবং অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য। তবে যতদূর খবর বিষয়টি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে রক্ষা দফা করার চেষ্টা করছে অভিযুক্ত রজীব এবং তার এক নিকটবর্তী আত্মীয়। কিন্তু থানার দরজায় দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের বিচার চাইলেন আশা কর্মী।