স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯জুন: ‘তাতা’ মার্তিনো নামে পরিচিত এই কোচ সবশেষ ছিলেন মেক্সিকো জাতীয় দলের দায়িত্বে। গত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যায় তারা। ১৯৭৮ সালের পর প্রথমবার এই অভিজ্ঞতা হয় দলটির। এরপর পদত্যাগ করেন তিনি।মেক্সিকো থেকে বিদায়টা সুখকর না হলেও ২৫ বছরের কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ আর্জেন্টাইন এই কোচের। ১৯৯৮ থেকে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ের বেশ কয়েকটি ক্লাবে দায়িত্ব পালনের পর প্রথম বড় কোনো দায়িত্ব নেন তিনি ২০০৭ সালে প্যারাগুয়ের জাতীয় দলের কোচ হয়ে।চার বছর এখানে দায়িত্ব পালনের পর ২০১২ সালে মার্তিনো আর্জেন্টিনায় ফিরে যান মেসির সাবেক ক্লাব নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজের দায়িত্ব নিয়ে। পরে ২০১৩ সালে বার্সেলোনার দায়িত্ব পান তিনি। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে সুপার কাপ জিতলেও লা লিগা শিরোপা জিততে ব্যর্থ হন লিগের শেষ দিনে। দুই মৌসুমের চুক্তি থাকলেও তা শেষ হয় এক মৌসুমেই।পরের বছর জাতীয় দলের কোচ হয়ে ফেরে নিজ দেশ আর্জেন্টিনায়। কিন্তু পরপর দুটি কোপা আমেরিকায় ২০১৫ ও ২০১৬ ফাইনালে উঠে তার দল টাইব্রেকারে হেরে যায় চিলির কাছে। এরপর তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
পরে আটলান্টা ইউনাইটেডের কোচ হয়ে নতুন পথচলা শুরু হয় তার মেজর লিগ সকারে। তার কোচিংয়ে প্রথমবার লিগ শিরোপা জিতে নেয় আটলান্টা ২০১৮ সালে। মেজর লিগ সকারের বর্ষসেরা কোচের স্বীকৃতিও পান তিনি। ব্যক্তিগত কারণে ওই মৌসুমেই ছেড়ে দেন দায়িত্ব। এরপর ২০১৯ সালে থেকে গত বছর পর্যন্ত ছিলেন মেক্সিকোয়।মেসি ও বুসকেতসকে নিয়ে মায়ামি যেভাবে নতুনভাবে এগোচ্ছে, সেই লক্ষ্য পূরণে মার্তিনোকে কোচ হিসেবে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ক্লাবের ব্যবস্থাপনা সত্বাধিকারী জর্জ মাস। “আমরা মনে করি, সে এমন একজন কোচ যে আমাদের প্রত্যাশার সঙ্গে মানানসই ও আমরা আশাবাদী যে, আমরা একসঙ্গে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব। সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোচিংয়ে অনেক অভিজ্ঞতা আছে তাতার এবং আমরা মনে করি, তার অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে।”মায়ামির আরেক সত্বাধিকারী ইংলিশ ফুটবল গ্রেট ডেভিড বেকহ্যামও রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় মার্তিনোকে কোচ হিসেবে পেয়ে।“আমাদের এই খেলায় তাতা খুবই সম্মানীয় একজন, যার ট্র্যাক রেকর্ডই তার হয়ে কথা বলে। আমাদের বিশ্বাস, কোহ হিসেবে তার যে দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা, আমাদের দলের জন্য তা প্রেরণাদায়ক হবে এবং সমর্থকদের রোমাঞ্চ উপহার দেবে। মাঠের ভেতরে-বাইরে তার প্রভাব দেখতে আমরা মুখিয়ে আছি।”