স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৯ মে : গত রবিবার রাতে গোমতী জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমার সাথে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ দেখা করতে গিয়ে অপমানিত হন। জানা যায়, প্রদ্যোতের সাথে দেখা করেন নি জেলা শাসক। জেলা শাসক দেহরক্ষীদের দ্বারা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন কোন কথা বলার থাকলে সোমবার অফিসে আসার জন্য। শেষ পর্যন্ত অপমানিত হয়ে আগরতলা মুখী হয়েছিলেন প্রদ্যোত। এই বিষয় নিয়ে পরেরদিন সোমবার তিপরা মথার যুব সংগঠন ওয়াই টি এফ সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন গোমতী জেলা শাসক তড়িৎ কান্তি চাকমাকে যেন ত্রিপুরা রাজ্য থেকে বিদায় করা হয়। এমন জেলা শাসক চান না তারা।
এর জন্য সরকারকে ৯৬ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তারা। পরবর্তী সময় দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেন যারা শাসকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ যেন অবগত হয়ে উনার কাছে রিপোর্ট অফিসিয়াল ভাবে জমা দেন। এর মধ্যে শনিবার আগরতলা শহরের একটি বিয়ে বাড়িতে ওয়াই.টি.এফ -এর পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রশাসনিক কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটানোর ঘোষণা দেন নেতৃত্ব। তারা জানান গত ২৬ মে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারকে ৯৬ ঘন্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অথচ এক সপ্তাহ হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে।
তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী ২ জুন তথা সোমবার গোমতী জেলার সমস্ত অফিস শাটডাউন করে দেবে ওয়াই টি এফ। সরকার জেলা শাসকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা অফিস শাটডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারপরও যদি সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে আগামী দিন রাজ্যের সমস্ত জেলায় এর প্রভাব পড়বে। প্রয়োজনে রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত করা হবে বলে জানান। উল্লেখ্য, এমনটা ঘোষণা দেওয়ার পর গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে এত সাহস কোথা থেকে পায় একটি সংগঠন। প্রশাসনিক কাজে ব্যাঘাত ঘটানো আইনত অপরাধ। সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক চর্চাও শুরু হয়েছে। তবে দাঁতে দাঁত চেপে সরকার যদি একতরফা কোন সিদ্ধান্ত নিতে যায় তাহলে সেটা জনগণ কতটা মেনে নেবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। কারণ সামাজিক মাধ্যমে জনগণ জেলা শাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না। তবে সরকার আঞ্চলিক দলের ক্ষেত্রে বরাবরই দুর্বল। হয়তো সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত উঠে আসতে পারে আগামী রবিবারের মধ্যে।