স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ নভেম্বর: মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে ২-০ গোলে জিতেছে বায়ার্ন। বাঁজামাঁ পাভার্দ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিং।ছয় ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে ‘সি’ গ্রুপের সেরা বায়ার্নের পয়েন্ট ১৮। গ্রুপ রানার্সআপ ইন্টারের পয়েন্ট ১০।গ্রুপ পর্বে মাত্র দুটি গোল হজম করা বায়ার্ন শুরুতেই বিপদে পড়তে পারতো। সপ্তম মিনিটে নিকোলো বারেল্লার দূর থেকে নেওয়া শট বাঁক খেয়ে লক্ষ্যেই ছিল, ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক সভেন উলরিখ।পরের মিনিটে আবারও দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন ইতালিয়ান মিডফিল্ডার বারেল্লা। মুখ বরাবর বল আসতে দেখে হাত উঁচু করে ঠেকান সাদিও মানে। ধারাভাষ্যকারকে বলতে শোনা যায়, হয়তো পেনাল্টি পেতে যাচ্ছে ইন্টার। কিন্তু ভিএআরে সাইড মনিটরে অনেকটা সময় ধরে দেখে ইন্টারের দাবি নাকোচ করে দেন রেফারি।
২৬তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লাউতারো মার্তিনেস। বাঁ দিক থেকে রবিন গোজেন্সের বাড়ানো দারুণ পাস গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পেয়ে যান মার্তিনেস, দরকার ছিল কেবল একটা টোকার। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তার স্লাইডে বল চলে যায় ওপর দিয়ে।ইন্টার দারুণ সব সুযোগ তৈরি করলেও আক্রমণ বেশি করছিল বায়ার্ন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পেয়েই এগিয়ে যায় তারা। জসুয়া কিমিখের কর্নারে লাফিয়ে নেওয়া হেডে গোলটি করেন বাঁজামাঁ পাভার্দ।দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই হেডে জালে বল পাঠান ইন্টারের মিডফিল্ডার আসলানি।
তবে সঙ্গে সঙ্গেই অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ৬৩তম মিনিটে ওভারহেড কিকে লক্ষ্যভেদ করেন চুপো-মোটিং। তবে তিনিসহ একাধিক খেলোয়াড় ছিলেন অফসাইডে।৭২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জালে বল পাঠান ছন্দে থাকা চুপো মোটিং। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই ও সব মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও হারান এদিন জেকো। তার কোনাকুনি শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় ঝাঁপিয়ে ফেরান উলরিখ।ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে মোট ১৮ বার বল পাঠাল ছয়বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।গ্রুপের আরেক ম্যাচও ছিল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। সেখানে ভিক্তোরিয়া প্লাজেনের মাঠে ৪-২ গোলে জিতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করেছে বার্সেলোনা। ইউরোপা লিগে নেমে যাওয়া দলটির পয়েন্ট ৭।সব ম্যাচে হেরে খালি হাতে ফিরল ভিক্তোরিয়া।
‘ডি’ গ্রুপের জমজমাট লড়াই
শেষ রাউন্ডের আগে চার দলেরই সুযোগ ছিল শেষ ষোলোয় ওঠার। আবার সবার সামনেই ছিল বাদ পড়ার শঙ্কা।রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে টটেনহ্যাম হটস্পার ও আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট।মার্সেইকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম। আর স্পোর্তিংকে একই ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ ফ্রাঙ্কফুর্ট। তাদের পয়েন্ট ১০।৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়ে ইউরোপা লিগে খেলবে স্পোর্তিং। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে বিদায় নিল মার্সেই।