স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ নভেম্বর: প্রতিপক্ষের মাঠে মঙ্গলবার রাতে ৪-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেছেন ফেররান তরেস, একটি করে গোল মার্কোস আলোনসো ও পাবলো তোরের। আগেই ইউরোপা লিগে নেমে যাওয়া বার্সেলোনা ছয় ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপে তৃতীয় হলো। সবগুলো ম্যাচেই হারের তেতো স্বাদ পাওয়া ভিক্তোরিয়া শেষ করল তলানিতে থেকে।ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে জেতা ম্যাচের আনসু ফাতি ও জর্দি আলবাকে রেখে বাকিদের বিশ্রাম দেন শাভি। তাতে সেরা একাদশে সুযোগ মেলে নতুনদের। ষষ্ঠ মিনিটে গোল করে মার্কোস আলোনসো সুযোগটা লুফে নেন দারুণভাবে।ফাতির শট গোলরক্ষক আটকালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ধীর গতিতে হলেও বল যাচ্ছিল জালের দিকে। ছুটে দিয়ে গোললাইন পার করে দেওয়ার কাজটুকু করেন আলোনসো।
২১তম মিনিটে ক্রসবারের বাধায় বেঁচে যায় বার্সেলোনা। সতীর্থের ক্রসে টমাস চোরির ডাইভিং হেড ফেরে ক্রসবার কাঁপিয়ে।প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। ফঁক কেসিয়ের ক্রস আলবা হেড পাসে বাড়ান গোলমুখে; টোকা দেওয়ার কাজটুকু সহজেই করেন তরেস। সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন, কিন্তু ভিএআরে টিকে যায় গোল।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে স্পট কিকে ভিক্তোরিয়াকে ম্যাচে ফেরান চোরি। বক্সে পাবলো তোরে বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আসা ভিক্তোরিয়ার স্বস্তি উবে যায় ৫৪তম মিনিটেই। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তরেস পাস বাড়ান ডান দিকে রাফিনিয়াকে। এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড শট না নিয়ে ফিরতি পাস বাড়ান, নিখুঁত শটে জালে জড়িয়ে দেন তরেস।৬৩তম মিনিটে চোরি হেডে লক্ষ্যভেদ করলে জমে ওঠে ম্যাচ। তবে ৭৫তম মিনিটে রাফিনিয়ার পাস ধরে তোরে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করলে ম্যাচ ফের ঝুঁকে পড়ে বার্সেলোনার দিকে। সিনিয়র টিমের হয়ে প্রথম গোল পেলেন ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ।জয়ের ম্যাচে বার্সেলোনা দুর্ভাবনা বাড়িয়েছে কেসিয়ের চোট। ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন কোত দি ভোয়ার এই মিডফিল্ডার।