স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ নভেম্বর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে বুধবার অ্যাডিলেইডে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। সেমি-ফাইনালে যেতে দুই দলের জন্যই ম্যাচটিতে জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে খেলা ১১ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় স্রেফ একটি। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচের তিনটিই জিতেছে ভারত।সাম্প্রতিক সময়ে এই সংস্করণে ব্যর্থতার চোরাবালিতে ঘুরপাক খাচ্ছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে গিয়ে অবশ্য প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতে তারা জিতেছে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলে সাকিবের দল উঠে যাবে সেমি-ফাইনালে। দ্রাবিড়ের আগে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব বলেন, তাদের বিপক্ষে ভারতকে ফেভারিট মনে করছেন তিনি। তবে ভারতীয় কোচের কণ্ঠে ভিন্ন সুর। প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখাতেই কি-না, বাংলাদেশকে সমীহ করার কথা তিনি বললেন। বিভিন্ন যুক্তিতর্ক দিয়ে বুঝিয়েও দিলেন, ২০ ওভারের ক্রিকেটে ফেভারিট ঠিক করা কঠিন। “আমরা ওদের অনেক সমীহ করি। ওরা খুব ভালো দল। সত্যি বলতে এই সংস্করণ এবং এই বিশ্বকাপ দেখিয়েছে, কোনো দলকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড সেটিই দেখিয়েছে। এই টুর্নামেন্টে এরকম আরও কিছু ম্যাচ আমরা দেখেছি।” “২০ ওভারের খেলা এমনিতেই ছোট সংস্করণ। এখানে জয়-পরাজয়ের ব্যবধানটা কখনও কখনও ১২-১৫ রানের হলেও দুটি শটেরই তো ব্যাপার।
দুটি শট এদিক-সেদিক হলেই ফল বদলে যায়। এখানে কখনও কখনও কে পরিষ্কার ফেভারিট বলাটা কঠিন।” অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলিতে বাউন্ডারি এমনিতে বেশ বড়। ছক্কা মারার কাজ তাই সহজ নয় ব্যাটসম্যানদের জন্য। কন্ডিশনের ব্যাপার তো আছেই। এসব কিছুই দলগুলোর মধ্যে পার্থক্য কমিয়ে এনেছে বলে মনে করেন দ্রাবিড়। “এই কন্ডিশনে খেলাটায় আরও সমতা চলে আসে কারণ, বাউন্ডারি অনেক বড়। কিছু বড় শট যা উপমহাদেশে অনায়াসে ছক্কা হয়, তাই সেখানে একজন ব্যাটসম্যান ভাবতে পারে যে ইনিংসের পরের অংশে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু এখানে তা সহজে হচ্ছে না, ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যাচ্ছে।” “সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এটি সত্যি চমৎকার একটি টুর্নামেন্ট হচ্ছে। আবহাওয়ার কথা বাদ দিলে খেলার ধরণ অনুযায়ীও এটি দুর্দান্ত আসর।” আসরে প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে ভারত। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারলে তাদের সেমি-ফাইনালের সম্ভাবনা ঝুলে যাবে অনিশ্চয়তায় সুতোয়। দ্রাবিড় তাই সতর্ক। “আমরা অবশ্যই বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্থে যেমন ছিল এই ম্যাচেও আমাদের প্রস্তুতি ঠিক তেমনই আছে। কোনো পার্থক্য নেই।”