স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ জুন : ২০২৫ সালের শেষে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটিতে পৌঁছবে, চিনকে ছাপিয়ে গোটা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। রাষ্ট্রপুঞ্জের জনসংখ্যা বিষয়ক দপ্তর ইউএনএফপি-র সাম্প্রতিক রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। এইসঙ্গে ভারতে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমারও বার্তা দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে।
২০১১ সালে ভারতে শেষবার জনগণনা হয়েছিল। আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে মে মাসে নতুন করে জনসুমারি হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ২০২৩ সালে রাষ্ট্রসংঘের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তাতে বলা হয় জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে পয়লা নম্বর স্থান দখল করেছে ভারত। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, দুই বছর আগেই ১৪২ কোটি জনসংখ্যার দেশে পরিণত হয়েছিল ভারত। ২০২৫ সালের শেষে যা ১৪৬ কোটিতে পৌঁছবে।
রাষ্ট্রসংঘের এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে জনসংখ্যার হার নিম্নগামী। নেপথ্যে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, রাষ্ট্রসংঘের ভাষায় ‘দ্য রিয়েল ফার্টিলিটি ক্রাইসিস’। যেহেতু ব্যাপক হারে তরুণ প্রজন্ম পরিবার পরিকল্পনায় জোর দিচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে একটিমাত্র সন্তান নেওয়াতেও অনিহা দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মহিলা প্রতি প্রজননের হার ২.১ থেকে ১.৯-এ নেমে এসেছে।