স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ জুলাই : গত ১৭ জুন কমলপুর ছোট সুরমা বারোদ্রোন গ্রামে আর.কে ইট ভাট্টা আশীষ রঞ্জন দাস নামে এক যুবক খুন হয়। এই যুবক খুন হওয়ার পর স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অনেক বিতর্কিত বিষয় উঠে আসে। ঘটনার এতদিনেও স্থানীয় বিধায়িকা স্বপ্নদাস পাল আশীষ রঞ্জন দাশের বাড়িতে যান নি। সম্প্রতি আশীষ রঞ্জন দাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা।
তিনি কোন কারণবশত এই খুন কাণ্ডের জন্য তদন্তের আওতায় বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল এবং ওনার স্বামী পরিতোষ পালকেও আনার জন্য দাবি করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বহু জল ঘোলা হয়ে যেতে দেখে বুধবার বিকাল ৪ টায় আশীষ রঞ্জন দাসের বাড়িতে যান বিধায়িকা। সাথে সাথে আশীষের বাড়িতে এসে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে স্লোগান তুলে স্বপ্না দাস পাল গো ব্যাক। তিনি এতদিন কোথায় ছিলেন প্রশ্ন গ্রামবাসীর। এদিকে গ্রামের মহিলাদের আরো অভিযোগ, বুধবার বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল আশীষ রঞ্জন দাসের বাড়িতে এসেছিলেন পাশে থাকার বার্তা নিয়ে। গ্রামবাসী চেয়েছিলেন উনার কাছে কিছু দাবি উত্থাপন করবেন। কিন্তু বিধায়িকা কিছু যুবকদের এনে হুমকি-ধমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি আসার সময় চা বাগান থেকে বখাটে যুবকদের নিয়ে এসেছিলেন।
তারপর তারা জানতে চান কেন এই বখাটে যুবকদের নিয়ে এসেছেন? কিন্তু কোন জবাব দিতে পারেননি বিধায়িকা। তারপর একটা সময় তারা যখন বিধায়িকাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন, তখন দিশেহারা হয়ে আশীষ দাসের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন স্থানীয়দের অপছন্দের বিধায়িকা। গ্রামের মহিলাদের আরও অভিযোগ, আশিস দাস হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে একটি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল এলাকায়। এই বনধ কেন ডাকা হয়েছে তা নিয়েও বিধায়িকা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় বিধায়িকার লোকেরা নাকি এলাকার গাড়ি ভাঙচুর করে। তাতে চরম ক্ষুব্ধ এলাকার জনগণ। তাই বিধায়িকার ছায়া পর্যন্ত দেখতে চাইছেন না এলাকাবাসী।