স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ এপ্রিল : বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ভোটার কার্ড বিতর্ক উঠল কংগ্রেসের অধিবেশনে। গান্ধী-প্যাটেলদের ভূমিতে বুধবার সবরমতীর পারে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মুখে শোনা গেল ভোটার কার্ড কারচুপি ও ইভিএম বিতর্কের কথা। আরও একবার মহারাষ্ট্রে বিজেপির জয়ের নেপথ্যে ভোটার কার্ড কেলেঙ্কারিকেই দায়ী করলেন কংগ্রেস সভাপতি। আগেরদিন কর্মসমিতির বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে তোপ দাগার পাশাপাশি অনগ্রসর শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বের পক্ষে সওয়াল করেছেন রাহুল গান্ধী।
বুধবার সভার শুরুতেই কংগ্রেসের অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করান খাড়গে। পাশাপাশি বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, ‘ওদের শাসনে দেশের গণতন্ত্র বিপদের মুখে। লোকসভায় বিরোধী দলনেতা (রাহুল গান্ধী)কে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। যেখানে বিরোধী দলনেতাকে বলতে দেওয়া হয় না, সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না।’ ইভিএম ও ভোটার কার্ড ইস্যুতে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে খাড়গে বলেন, “ভোটার কার্ড নিয়ে প্রচুর দুর্নীতি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে যা হল তা গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্কের। লোকসভার কয়েকমাস বাদেই বিধানসভায় এখান আশ্চর্যভাবে ভোটার সংখ্যা ব্যাপক বেড়ে গেল?” এই ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খাড়গে বলেন, ”ভোটার কার্ড দুর্নীতি নিয়ে আমরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছি।” পাশাপাশি ইভিএম ইস্যুতেও খাড়গের দাবি, পৃথিবীর সব জায়গায় নির্বাচনে ব্যালট ব্যবহার করা হয়। অথচ এখানে ইভিএম। ইভিএমকে বিজেপির জয়ের মেশিন বলে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেন খাড়গে। এছাড়াও, অবিজেপি রাজ্যের প্রতি মোদি সরকারের বৈমাতৃসুলভ আচরণ। ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল অন্যায়ভাবে রাজ্যপালের আটকে রাখার মতো ঘটনা তুলে ধরেন খাড়গে। পাশাপাশি রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের দলীয় কোন্দল নিয়ে এদিন কড়া বার্তা দেন খাড়গে। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “যারা পদে থেকেও দলের কাজ করেন না, তারা বিশ্রাম নিয়ে নিন।” নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে জেলা কমিটির মতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান খাড়গে।