স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৬ এপ্রিল :রাজ্যে টিপল ইঞ্জিন সরকারের সুশাসনে প্রধান রেফারেল হাসপাতালের যে কতটা বেহাল পরিষেবা সেটা বিভিন্ন সময় রোগী এবং রোগীর পরিবারের লোকজনেরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ তুলেন। অথচ সেই অভিযোগ কর্ণপাত করে না রাজ্যের সবকা সাথ সবকা বিকাশ সরকার। যখন কোন মন্ত্রী বিধায়কের স্নেহের লোক চিকিৎসা পরিষেবা পায় না তখন সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতে দেখা যায় মন্ত্রী, বিধায়কদের। বরাবরই অভিযোগ তোলেন তারা। ঠিক এমনই এক ঘটনা আবারও সংগঠিত হলো শনিবার। মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা এবং বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার কাছের লোকে মৃত্যুর খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে গিয়ে স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালে কতটা দুরবস্থা।
ন্যূনতম পরিষেবা পর্যন্ত পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে রোগীর। তাদের কাছের যে ব্যক্তি মারা গেছে তার পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন জিবি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা যাওয়ার অগ্রিম খবর পেয়ে পর্যন্ত হাসপাতালে সিনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অপেক্ষা করলেন না। জুনিয়র চিকিৎসকের উপর দায়িত্ব চাপিয়ে হাসপাতাল থেকে কর্মশালার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বলে জানতে পারেন মন্ত্রী এবং বিধায়ক। পরবর্তী সময় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে জানান বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। তিনি স্বীকার করেন বিভিন্ন সময় রোগীদের কাছ থেকে জিবি হাসপাতালে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ শোনা যায়।
আজ তিনি নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন। একজন রোগী মারা যাওয়ার পর চিকিৎসকের অবহেলা চোখে পড়েছে তাদের। একজন জুনিয়র চিকিৎসকের উপর দায়িত্ব দিয়ে সিনিয়র চিকিৎসক হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দাবি করেন জিবিতে যাতে চিকিৎসকরা সহানুভূতি দিকে বিশেষ নজর দিয়ে দায়িত্ব পালন করে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। তবে এ ধরনের অভিযোগ লাগাতার রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে উঠে আসে। তবে এখন দেখার বিষয় একজন বিধায়কের মুখ থেকে এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পর হাসপাতালে পরিষেবা কতটা শোধরানো হয়। তবে জিবি হাসপাতালে মধ্যে বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসকরা কিংবা ইন্টারশীপ করা ছেলেমেয়েরা পরিষেবা দিয়ে চলেছে। আর সিনিয়র চিকিৎসকরা আগরতলা শহরে জায়গায় জায়গায় চেম্বার খুলে এবং নার্সিংহোমের মাধ্যমে তারা পরিষেবা দিচ্ছে। কিন্তু জনগণের পয়সা তাদের প্রতি মাসে মোটা অংকের বেতন হলেও গরিব মানুষদের জন্য সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিতে রাজি নন একাংশ সিনিয়র চিকিৎসক। এদিকে বিকাল বেলা স্বাস্থ্য সচিব ড. কিরণ গিত্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এ বিষয়টি নজরে এসেছে। তদন্ত করা হয়েছে। অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
