স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০৯ মার্চ : কাংপোকপি জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর। এই ঘটনায় বনধের ডাক দিয়েছে কুকি সম্প্রদায়। পালটা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কোনও রকম হিংসা সামাল দিতে রাস্তার রুটমার্চ করছে সেনা। সব মিলিয়ে রবিবার সকাল থেকে থমথমে মণিপুরের কাংপোকপি জেলা।
গত শনিবার মণিপুরে বাস পরিষেবা চালুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুরে। সম্প্রতি মণিপুরের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অজয় ভাল্লা। রাজ্যকে সচল করতে গত ২ মার্চ রাজ্যপাল ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৮ মার্চ থেকে মণিপুরের যান চলাচল সচল করার। সেই মতো বাস পরিষেবা চালু করা হলে পথ অবরোধে নামে কুকিরা। জানানো হয়, যতক্ষণ না তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ কোনও বাস চলবে না। রাস্তায় পাথর ফেলে পথ অবরোধ শুরু করে কুকি সম্প্রদায়ের মহিলারা।
বিক্ষোভকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। পালটা আক্রমণ চালায় কুকি সম্প্রদায়ের লোকজন। বিক্ষোভকারীরা বাস লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুড়তে থাকেন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি বাসে। এই পরিস্থিতিতে গুলি চালায় পুলিশ। সংঘর্ষের মাঝে ৩০ বছর বয়সি এক যুবকের গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই বিক্ষোভকারীর। পাশাপাশি দুতরফের অন্তত ৪০ জন আহত হন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই সংঘর্ষে তাদের ২৭ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভয়াবহ এই হিংসার পর শনিবার রাতেই কুকি অধ্যুষিত অঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধের ডাক দেওয়া হয়। কুকি-জো কাউন্সিলের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, এই অঞ্চলে শান্তি না ফেরা পর্যন্ত এবং কুকিদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের অবাধ যাতায়াতের বিরোধিতা জারি থাকবে। রবিবার সকালেও পথে নামতে দেখা যায় কুকিদের। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার কিছু এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ালেও পরিস্থিতি মোটের উপর শান্ত রয়েছে। বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে হিংসা উপদ্রুত এলাকায়। চলছে সেনার টহলদারি।