স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ নভেম্বর : আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলল বামেরা। রাজ্যের সাতটি জায়গায় ব্যাপক সন্ত্রাস হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে কমলপুর, মোহনপুর, জিরানিয়া, বিশালগড়, রানির বাজার, উদয়পুর এবং শান্তিরবাজার পুর সংস্থা এলাকা। সেসব মহাকুমা রিটার্নিং অফিসারের অফিস সমাজদ্রোহীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যেতে পারছেন না বিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল সিপিআইএম -এর প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে শাসক দলের গুন্ডাবাহিনী। মঙ্গলবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ তুলেন বামফ্রন্টের আহব্বায়ক নারায়ন কর। তিনি বলেন রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে ২১ অক্টোবর সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সিপিআইএম ডাকা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সংগঠিত করতে হলে প্রার্থীদের এবং কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব উনাকে নিতে হবে। কারন ২০১৮ নির্বাচনের পর রাজ্যের লোকসভা নির্বাচন, স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচন সহ যত নির্বাচন সংঘটিত হয়েছে সবগুলি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনারকে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে দাবি জানানো হয়েছিল।
কিন্তু দেখা গেছে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রাজ্যে মনোনয়নপত্র জমা যাতে দিতে না পারে তার জন্য শাসকদলের দুর্বৃত্তরা প্রার্থীদের বাড়িতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য হামলা চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পশ্চিম জেলার জেলাশাসক, দক্ষিণ জেলার জেলাশাসক, ধলাই জেলার জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। জেলাশাসকরা জানিয়েছেন বিষয়টি দেখবেন, এবং পুলিশ আধিকারিক ও সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন আধিকারিককে জানানো হবে যাতে বিরোধী দলের প্রার্থীরা নিরাপদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। তিনি আরো বলেন সমস্ত ক্ষেত্রে মামলা করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। বিলোনিয়াতে ১০ জন প্রার্থী প্রস্তাবককের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। বহু প্রার্থী বাড়িঘরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। বাইক পুড়ে দেওয়া হয়েছে। ধর্মনগরে প্রার্থীর নন্দলাল ভট্টাচার্যের বাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়গুলি নিয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করার সময় চাইলে নির্বাচন কমিশনার আজকের দিনে দেখা করার সুযোগ দেননি। কিন্তু হাতে রয়েছে মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার আর একদিন বাকি। যদি আগামী বুধবার মনোনয়নপত্র প্রার্থীরা জমা দিতে না পারে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। এবং নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় সন্তুষ্ট ব্যক্ত করে বলেন প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনার।