স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ নভেম্বর: রাজ্য আইন দপ্তরের অধীন সাব্রুম মহকুমায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত চালু করার জন্য মোট ১২ টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এগুলি পরবর্তী সময় আইন দপ্তর নিয়োগের নিতি নির্ধারণ করে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করবে। মঙ্গলবার মহাকরণে রাজ্য মন্ত্রীসভার গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
১২ টি নতুন পদের মধ্যে রয়েছে একটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের পদ, অফিস সুপারেন্টন্ডেন্টের একটি পদ, হেডক্লার্কের একটি পদ, জুনিয়ার স্টেনোগ্রাফারের দুটি পদ, ইউ ডি সি পদে একজন, এল ডি সি-তে ২ টি পদ এবং গ্রুপ ডি-তে ৩ টি পদ। ২০১৮ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় পর বিধায়ক মন্ত্রী ও বিধানসভার মুখ্য সচেতক থেকে অধ্যক্ষ প্রত্যেকের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনে। তাতে কোন বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর এক দিন ক্ষমতায় থাকলেই তার বিধায়ক পদ কোন কারনে বিলুপ্ত হলে তিনি পেনশন সহ সমস্ত ধরনের সুযোগ সুবিধা পেতেন। যা পূর্বতন সরকারের আমলে ছিল ন্যুনতম চার বছরের। মঙ্গলবার রাজ্যমন্ত্রী সভা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কোন বিধায়ক নির্বাচিত হলে তাঁকে নুন্যতম একটা টার্মস অর্থাৎ ৫ বছর ক্ষমতায় থাকতে হবে। তবেই মিলবে পেনশন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। একটি রাজনৈতিক দল আগরতলায় সভা করে। এই সভার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে বড় স্থানে এই সভা করার জন্য। রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণ ঘিঞ্জি এলাকা। দীপাবলির বাজার চলছে। মানুষ আশা যাওয়া করছে। তাই কোভীড সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর তারা উচ্চ আদালতে যায়। উচ্চ আদালত ৫০০ লোক নিয়ে সভা করার অনুমতি দেয়। এই নিয়ে রাজনীতি আরও বড় হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রতি আঙুল তোলা হয়েছে। বহু বার বলা হয়েছিল বাইরে থেকে লোক আনা হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর লাগু করেছে বেশ কিছু রাজ্য থেকে বিমান , সড়ক ও রেল পথে আশা যাত্রীদের আর টি পি আর রিপোর্ট বাধ্যতা মূলক। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী তিনি জানান মন্ত্রীসভার বৈঠকে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব রিপোর্ট দিয়েছে বিগত তিন দিনে পশ্চিম জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৭২ শতাংশ। গত এক সপ্তাহ আগে এই হার ছিল দশমিক ৪০ শতাংশ। পশ্চিম জেলায় সমাবেশ হয়েছে। আর এই সমাবেশে বাইরে থেকে লোক আসায় এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি। উত্তর জেলায় ছিল দশমিক ২১ শতাংশ। তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.০৪ শতাংশ। এই তথ্য প্রমান করে দিচ্ছে রাজ্যে মধ্যে একটা চক্রান্ত চালাচ্ছে একটি রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গ, কাছাড় থেকে লোক এনে বহিরাগত রাজনৈতিক দল রাজ্যের মধ্যে কোভীডের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে। একই সঙ্গে রাজ্যে লন্ডভন্ড পরিবেশ তৈরি করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। কোভীড আক্রান্তের সংখ্যা বারিয়ে রাজ্যের অগ্রগতিকে রুখতে এই চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য সরকারকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করাতে তীব্র নিন্দা জানালেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।