Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যকংগ্রেস সি.পি.আই.এম মুদ্রার এপিট-ওপিট : বিজেপি

কংগ্রেস সি.পি.আই.এম মুদ্রার এপিট-ওপিট : বিজেপি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ জুন : রবিবার রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল ঘোষনার পর দেখা যায় চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩ টিতে বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। ৬ আগরতলা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী। ৬ আগরতলা কেন্দ্রে বিজেপির প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল হয়নি।

উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটা জানান প্রদেশ বিজেপির সাধারন সম্পাদক টিঙ্কু রায়। যে সকল ভোটাররা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় ছিল বামেরা। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রায় ৬০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিল। উপভোটে এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রায় সারে চার হাজার  ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। তার জন্য তিনি যুবরাজ নগর বিধান সভা কেন্দ্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত সকল স্তরের কর্মীদের বিজেপি দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। টিঙ্কু রায় এইদিন স্পষ্ট বলেন উপ নির্বাচনে সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মিতালি পরিষ্কার হয়ে গেছে।

 ৬ আগরতলা কেন্দ্রে ২০১৮ সালে সিপিআইএম প্রার্থী ভোট পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮৫২ ভোট। পুর  নির্বাচনে ৮ হাজারের অধিক ভোট কমিউনিস্টরা পেয়েছিল। এই উপনির্বাচনে কমিউনিস্টরা ৬ হাজার ৮ শতাধিক ভোট পেয়েছে। এতে কমিউনিস্টরা শুধু দেউলিয়া হয়েছে তা নয়। কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসের মিতালি স্পষ্ট হয়ে  গেছে। তারা একই মুদ্রার এপিট-ওপিট। এই উপভোটে একটা বিষয় পরিষ্কার কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস একত্রিত হয়ে লড়াই করেছে। অপরদিকে এই উপ নির্বাচনে তৃনমূল কংগ্রেস অনেক ঢাক ডোল পিটিয়ে প্রচার করেছে। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেছে অনেক কেন্দ্রে তারা হাজার ভোটও পায়নি।

১৪ জুন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা  প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ডাক্তার মানিক সাহা সরাসরি বলেছিলেন  এই উপ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। কোন ধরনের হামলা হুজ্জুতি বরদাস্ত করা হবে না। বিজেপি দল  এখনো এই  জায়গায় অবস্থান  করছে। কিন্তু এইদিন  উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেছে কাউন্সিলার শিল্পী সেনের বাড়িতে সংঘাতিক ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। তারপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপির একজন কর্মিকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রদেশ বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন একটি আসনে জয়লাভের পর কংগ্রেস সন্ত্রাসের যে নগ্ন চেহারা  দেখিয়েছে, তা প্রমান  করে নির্বাচনের পূর্বে ৬ আগরতলা কেন্দ্রে কারা সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছিল। তিনি আরও বলেন ১৯৮৮ থেকে ৯৩-এর ঘটনা কেউ ভুলে নি। কংগ্রেস অফিসের ছাদ থেকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করার ঘটনার কথাও কেই ভুলে নি।

সিপিআইএম দল কংগ্রেসকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে  না বলেও অভিযোগ করেন প্রদেশ বিজেপির মুখ্য  মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি আরও বলেন কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের মধ্যে মিতালি রয়েছে। এই মিতালি প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে গোপনে রয়েছে রণ কৌশল তৈরি করার জন্য। ত্রিপুরার মানুষ গণতন্ত্র সচেতন মানুষ। শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তা বুঝে। সরকারের নিরিখে মানুষ ২০২৩ সালের নির্বাচনে ভোট দেবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। এইদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী আরও জানান গোমতী বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ১২ টি পদ রয়েছে। এই ১২ টি পদের মধ্যে বিজেপির লিগ্যাল সেলের ১১ জন প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য