স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ জুন :পহেলগ্রাম হত্যাকান্ডে যুক্ত জঙ্গিদের শাস্তির দাবিতে সরব হল সিপিআইএম সদর মহকুমা কমিটি। মঙ্গলবার সিপিআইএম সদর মহাকুমা কমিটির উদ্যোগে শকুন্তলা রোডে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভার মধ্য দিয়ে আওয়াজ তোলা হয় রাজনৈতিক-কূটনৈতিক-অর্থনৈতিক পদক্ষেপ এর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ নির্মল করা ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন বন্ধ করার। সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য তথা সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, দেশে কালোবাজারি, সন্ত্রাসী বাদ এবং নকশালবাদের জন্য একটাই কারণ হলো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল। এবং এ নোট বাতিলের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন অর্থনৈতিক বৈষম্য, কালোবাজারি এবং আঞ্চলিক বৈষম্য দূর হবে। একই সাথে বেকার সমস্যা সমাধান হবে।
বিশেষ করে যে ব্ল্যাক মানি হাতে আসবে সেগুলি দিয়ে উন্নয়ন করা হবে দেশের। তারপর সন্ত্রাসবাদ বন্ধ হবে বলে দেশবাসীকে আশ্বাস দিয়ে ৩৭০ ধারাও তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো জম্বু কাশ্মীরে এই রক্তাক্তের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার ১৪ দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন “সন্ত্রাসবাদ কা ইকোসিস্টেম খাতাম হোগেয়া।” অর্থাৎ সন্ত্রাসবাদ মাথা তুলে আক্রমণ করার ক্ষমতা নেই। কাশ্মীর এখন শান্তির প্রদেশ। কিন্তু দেখা গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই কথা বলার ১৪ দিনের মাথায় ভূস্বর্গ রক্তাক্ত হয়েছে। কিন্তু কাশ্মীরের মানুষ সন্ত্রাসবাদীর কাছে মাথা নত করেনি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে আরএসএস, বিজেপি অপারেশন সিঁদুর, তিরঙ্গা যাত্রা এবং বিজয় উৎসব করেছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া সন্ত্রাসবাদ দমন হবে না। এখন পর্যন্ত এই সন্ত্রাসবাদদের বিরুদ্ধে কোনরকম কর্মসূচি নেয়নি শাসক দল এবং সরকার। এমনটাই বলে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। আয়োজিত কর্মসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার কমিটির সম্পাদক রতন দাস, অমল চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।