স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৪ জুন : গত ১৭ জুন ছোট সুরমা পঞ্চায়েতের বারোদ্রোন এলাকার বাসিন্দা আশিস চন্দ্র দাসকে এক ইট ভাট্টাতে রাতেরবেলা খুন করে দুষ্কৃতিকারীরা। পরে সুরমা আভাঙ্গা ছড়ায় মৃতদেহ ফেলা হয়। ১৯ জুন তার স্ত্রী কুলাই হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন। এদিকে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আর কে আই ইট ভাট্টার মালিক সৌভিক দাস সহ মোট পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে তাদেরকে চারদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশের ভাষায় প্রাইম একিউস্ড আর কে আই ভাট্টার ম্যানেজার প্রশান্ত উরফে বাপি দাসকে পুলিশ এখনও খুঁজে পায়নি।
মঙ্গলবার আশীষের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য কমলপুর থেকে আগরতলায় আসেন। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে গিয়ে আশিশ হত্যাকান্ডের বিচার চান। আশিসের মা জানান, তার ছেলে বিজেপি করতেন। লোকসভা, বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় এজেন্টও ছিল। উনার স্বামী কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে পরিতোষ পাল, প্রশান্ত দাস এবং সৌভিক দাস সহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা এক কানি জমি নিয়ে স্বাক্ষর করেন বছরে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া পাঁচ বছর পর এককালীন দেওয়া হবে। কিন্তু কৌশল করে কাগজে পত্রে ৮ হাজার টাকা দিয়ে স্বাক্ষর করায়। কিন্তু এখন সেই টাকা দিচ্ছে না পরিতোষ ও সৌভিক সহ তাদের সাঙ্গবাঙ্গরা। তারপর তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করলে তারা খুন কাণ্ডের তিন দিন আগে কাগজপত্র ধরিয়ে দেয় আশীষ দাসের হাতে। তখন আশীষ প্রতিবাদ জানায়। পরবর্তী সময় বিষয়টি এড়িয়ে যায় পরিতোষ ও সৌভিক।
তারপর ১৭ জুন পরিতোষ, সৌভিক ও প্রশান্ত সহ তাদের সাংগোপাঙ্গরা আশীষকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় ইটভাট্টায়। তারপর কিছুক্ষণ পর থেকেই ছেলের মোবাইল সুইচ অফ পায়। তারপর খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পায়নি। পরের দিন অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তারপর তিনদিন পর ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এখন পুলিশ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ আশিসে মার। তিনি জানান গত এক বছর আগে একইভাবে এই অভিযুক্তরা তার আরো এক ছেলেকে নিখোঁজ করে খুন করেছে। দুই সন্তান এই অভিযুক্তদের দ্বারা হারাতে হয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন আশীষের মা।