স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৫ জুলাই : ২০১৮ সালের আগে সব ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ছিল ত্রিপুরা। ত্রিপুরা বিদ্যুৎ বিক্রি করার একটা গৌরব স্থানে ছিল। কিন্তু গত সাড়ে সাত বছরে ট্রিপল ইঞ্জিন সরকার রাজ্যের বিদ্যুৎকে বিশেষভাবে হাব তৈরি করতে না পারলেও কোটি কোটি টাকা বিজ্ঞাপনের প্রচারে গোটা দেশকে মাতিয়ে রেখেছে। অথচ প্রতিদিন দেখা যায় বৃষ্টি আসলো বিদ্যুৎ পরিষেবা থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। আবার সময়ে সময়ে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করে চলেছে এই সরকার। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে যুক্তিহীন কথা বলছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মঙ্গলবার সিপিআইএম রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, সোমবার বিদ্যুৎ মন্ত্রী একটি ম্যারাথন সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।
এই সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে তিনি স্মার্ট মিটার লাগানোর বিষয়ে তুলে ধরেছেন। যা বিদ্যুৎ বেসরকারি করণের এক প্রথম ধাপ। যার ফলে মানুষের বিদ্যুৎ বিল ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা আসছে। অথচ সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী এর কোন যুক্তিগত উত্তর দিতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, গত সাড়ে সাত বছরে এক ওয়াট করে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে পারেনি বর্তমান সরকার। এখন রাজ্যে সোলারে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এগুলো নিয়েই মন্ত্রী গান গল্প করছেন। আর এভাবে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করে মানুষকে এক অসহায় জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে পাইপ লাইন এবং সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। আবার এক লাফে পাইপলাইন গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রী বলছেন আন্তর্জাতিক স্তরে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাস ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপাদন হয়। এর সাথে আন্তর্জাতিক বাজারের কোন তুলনা নেই। পাশাপাশি মন্ত্রী যুক্তির কোন গুরুত্ব নেই।
কারণ আন্তর্জাতিক স্তরে ও জ্বালানি তেল এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। তাই এর বিরোধিতা করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম। তিনি আন্দোলনে ঘোষণা দিয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহব্যাপী বিদ্যুৎ মাসুল বৃদ্ধি, স্মার্ট মিটার এবং পাইপলাইন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সংঘটিত করা হবে বিদ্যুৎ নিগম অফিসের সামনে। তারপর যদি সরকার পিছু না হাটে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বলে জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস