স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ জুন : আবারো রণক্ষেত্রে প্রত্যন্ত এলাকা। হামলার মুখে পড়লেন মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। শুক্রবার মোহনপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সিমনা বিধানসভার দারগামুড়া বিদ্যালয়ে এক প্রশাসনিক শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই প্রশাসনিক শিবিরের উদ্বোধন করার কথা ছিল মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়ার। সেই মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে যান মন্ত্রী। শুরু প্রশাসনিক শিবিরের সূচনা পর্বের অনুষ্ঠান।
কিন্তু এরপর পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হতে শুরু করে। প্রায় শতাধিক মহিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রশাসনিক শিবির বন্ধ করার দাবি জানাতে থাকে। তাদের অভিযোগ এই প্রশাসনিক শিবিরের জন্য আগাম কোন বার্তা দেওয়া হয়নি। নিজেদের মর্জি মাফিক প্রশাসনিক শিবির করা হচ্ছে। তাদের আরো অভিযোগ প্রশাসনিক শিবিরের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি স্থানীয় বিধায়ক ও এম ডি সি-কে। অথচ প্রশাসনিক শিবিরের উদ্বোধনী মঞ্চে উপস্থিত রয়েছে একটি দলের নেতৃত্বরা। এই দাবিতে সোচ্চার হতে শুরু করে মহিলারা। পরিস্থিতি ক্রমশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে বাইরে বেরিয়ে যেতে দেখে অতিরিক্ত পুলিশ, টি এস আর মোতায়েন করা হয়।
মহিলাদের বিক্ষোভ চরমে উঠলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। ছত্র ভঙ্গ করা হয় মহিলাদের। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার উপর চলে এই বিক্ষোভ। অবশেষে অনুষ্ঠান স্থল থেকে কোন ক্রমে বের করে নিরাপদে আনা হয় মন্ত্রী রাম পদ জমাতিয়া সহ আধিকারিকদের। এই ঘটনায় অভিযোগের তীর তিপ্রা মথার দিকে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সূত্রের খবর এদিনের মহিলাদের বিক্ষোভ প্রদর্শনে আশাপাশের এলাকা থেকেও মহিলাদের আনা হয়। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি। তবে প্রশ্ন উঠছে কার মদতে হচ্ছে এ ধরনের হামলার ঘটনা। এর পেছনে মূলত কী রহস্য রয়েছে ? অশান্তির পরিবেশ যেভাবে সৃষ্টি হচ্ছে তাতে ঘটতে পারে অঘটন। পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু শাসক দল বিজেপির বরাবরই অভিযোগ তুলছে মথার দিকে। কিন্তু প্রশ্ন যদি এর পেছনে মূলত মথা দায়ী হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন শাসক দলের হাতে থাকার পরও কেন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর পেছনে কি শাসক দলের কোনো রকম দুর্বলতা রয়েছে কিনা তা নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রশ্ন।