স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ মে :কমলাসাগর বিধানসভার বিধায়িকা এবং কমলাসাগর মন্ডল সভাপতি মোটা অংক দিয়ে পাম্প অপারেটরের চাকরি দিয়েছেন অন্য ওয়ার্ড থেকে। এই অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার কমলাসাগর বিধানসভার ২৬ কার্ড এলাকার পুরুষ মহিলা একত্রিত হয়ে নতুন জলের পাম্পের সামনে আন্দোলনে নামে শুধু তাই নয় পাম্পের দরজায় অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা ঝুলিয়ে দেয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত কমলাসাগর বিধানসভার ২৬ কার্ড এলাকার জনগণের একটি দাবি ছিল এলাকার মধ্যে একটি জলের পাম্প দেওয়ার জন্য। এলাকাটি উঁচু টিলাভূমি চার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের জলের ভীষণ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। প্রায় ৯০ টি পরিবারের বসবাস সেখানে। অবশেষে গত কয়েক মাস পূর্বে ২৬ কার্ড খামারের ভিতর একটি জলের পাম্প বসানো হয়। যথারীতি এলাকার বিধায়িকা স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ নেতৃত্ব আলোচনাক্রমে এবং রেজুলেশন লেখা হয়েছিল চার নম্বর ওয়ার্ড থেকে একজন বেকার যুবককে সে চাকরি দেওয়া হবে। যথারীতি কাজ শেষ হওয়ার পর আচমকা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে অমরেশ সরকারকে সেই চাকরি দিয়ে দেয়।
এমনকি এলাকার বিধায়িকা এবং মন্ডল সভাপতি ৪ নং ওয়ার্ডের জনগণকে আশ্বস্ত করেছিলেন চাকরি হলে চার নম্বর ওয়ার্ড থেকেই হবে। কিন্তু আচমকা দুই নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন প্রধানের ছেলের অমরেশ সরকারকে সেই চাকরি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ আন্দোলনে নামেন। তাদের সরাসরি অভিযোগ মন্ডল সভাপতি এবং বিধায়িকা মোটা অঙ্গের টাকা খেয়ে সে চাকরি তাকে দিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসী আরো জানান যতদূর পর্যন্ত এই ওয়ার্ড থেকে চাকরি না দেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত সেখানে দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে চাকরি পাওয়া অমরেশ সরকারকে জলে পাম্পে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। চাকরি হলে চার নম্বর ওয়ার্ড থেকেই হতে হবে। অথবা দরজায় তালা ঝুলানো থাকবে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিধায়িকার বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় জনগণের সাথে কোন যোগাযোগ না রেখেই নিজের খেয়াল মত খুশি মত সমস্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।এলাকাবাসী দাবি কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।