স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৩ জুন : ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষি দপ্তরের বিজ্ঞানীরা কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করতে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন মহিলা কৃষক। রাজ্যের ৮ টি জেলায় ৯৫৬ টি এই ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বিজ্ঞান-ভিত্তিক আধুনিক কৃষিকাজ, পশুপালন, মাছ চাষ, মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি, এসএইচজি সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এই প্রচার চলাকালীন, রাজ্যজুড়ে ৯৫৬ টি জিপি, ভিসিতে ৮৭৩ টি মিথস্ক্রিয়া সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার নাগিছড়া স্থিত হর্টিকালচার রিসোর্স কমপ্লেক্সে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান ত্রিপুরার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন সিকিম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে, ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে আসামের পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের তালিকায় পৌঁছেছে। যা রাজ্যের ইতিহাসে অভূতপূর্ব বলা যায়। মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হলো ভারতকে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক, সৃজনশীল এবং স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা এবং দেশকে বিশ্বের শস্য ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কৃষি হলো ভারতীয় অর্থনীতির মূল ভিত্তি। তাই কৃষির উন্নয়ন ছাড়া ভারতের সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্পূর্ণ। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে। এর মূল লক্ষ্য হলো একটি উন্নত ভারত গড়ে তোলা।
মন্ত্রী শ্রীনাথ বলেন, বিকাশ কৃষি সংকল্প অভিযানের মাধ্যমে, সারা দেশের ২,১৭০ টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাতের প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী এবং কর্মকর্তাদের একটি দল ৭০০টি জেলার দেড় কোটি কৃষকের কাছে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হল ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা। ছয়টি মূল পরিকল্পনা নিয়ে এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, ফসল বৈচিত্র্য এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণকে উৎসাহিত করা এবং প্রাকৃতিক ও জৈব চাষকে উৎসাহিত করা।