Wednesday, July 16, 2025
বাড়িরাজ্যলিভার প্রতিস্থাপনের জন্য সরকার মৌ স্বাক্ষর করতে চলেছে, পাশাপাশি টার্শিয়ারি রিজিওনাল চুক্ষু...

লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য সরকার মৌ স্বাক্ষর করতে চলেছে, পাশাপাশি টার্শিয়ারি রিজিওনাল চুক্ষু হাসপাতাল করা হবে আগরতলায় : মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৩ জুন : শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আইএলএস হাসপাতালে নতুন ক্যান্সার কেয়ার সুবিধার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী ফলক উন্মোচন করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে এখন বিভিন্ন উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা হয়। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। উন্নত স্বাস্থ্যপরিষেবা যাতে রাজ্যের মধ্যেই রোগীরা পায় তার জন্য সার্বিক চেষ্টা করছে সরকার। আগরতলা জিবিপি হাসপাতালে বর্তমানে কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, নেফ্রলজি, ইউরোলজি ও প্লাস্টিক সার্জারি মতো উন্নত স্বাস্থ্যপরিষেবা আছে। একই সাথে কিডনি প্রতিস্থাপন হয় জিবি হাসপাতালে। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীদের বাইরে যেতে হবে না। আগামী দিন কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো লিভার প্রতিস্থাপন করার জন্য পরিষেবা চালু করতে চাইছে সরকার। এর জন্য মোহন ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন ২৩৯ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে চিকিৎসা পেয়েছে রোগীরা। একই সাথে ৪ শতাধিক এমবিবিএস পড়ার মতো আসন রাজ্যে বর্তমানে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজ্যে ক্যান্সার রোগের বিভিন্ন পরিষেবা বর্তমানে রয়েছে। আগামী দিন আরও উন্নত পরিষেবা কিভাবে চালু করা যায় সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। রাজ্যের অটল বিহারী বাজপেয়ী ক্যান্সার হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে বহু ক্যান্সার রোগী রাজ্যে আসেন পরিষেবা নিতে। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে আরো বলেন, অনেকে বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে হাসপাতাল খুলতে চাইছে। জিবি হাসপাতালে আগে ৭২৭ টি ব্যাড ছিল। তা বৃদ্ধি করে ১৪১৩ করা হয়েছে। আরও ১০০ ব্যাড বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। একই সাথে জেলা ও মহকুমা হাসপাতাল গুলিকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে। জিবি হাসপাতালে মা ও শিশুদের জন্য ২০০ আসন বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল করা হবে। পাশাপাশি আইএলএস হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় টার্শিয়ারি রিজিওনাল চুক্ষু হাসপাতাল করা হবে। সকল জেলায় একটি করে নেশা মুক্তি সেন্টার করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্যান্সার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আরও বলেন, বিশ্বের মধ্যে মৃত্যুর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা। প্রতিদিন দেশে ১ হাজার ৩০০ জন রোগী ক্যান্সারে মারা যায়। তবে এই রোগ সঠিক সময় মত সনাক্ত হলে রোগী বাঁচানো কোন কঠিন বিষয় নয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে দেখা যায় এ রোগ নিয়ে মানুষ অসচেতন থাকে।

সবচেয়ে উদ্বেগ জনক বিষয় হলো ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পরেও বহু মানুষ অসচেতন হওয়ার কারণে রোগের গভীরতা বেড়ে যায়। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পাশাপাশি আইএলএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ক্যান্সার রোগের জন্য উন্নত পরিষেবা রয়েছে মুম্বাইয়ের টাটা হসপিটালে। ত্রিপুরা থেকে বহু রোগী সেখানে চিকিৎসা করতে যায়। তাই বর্তমান সরকার সেখানে রোগীদের সঙ্গে রোগীর পরিবারের থাকার বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছে। সরকার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অত্যন্ত সচেতন এবং দায়িত্বশীল। কোনভাবেই সরকার বিষয়টি গাফিলতি নজরে দেখে না। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে সহ আই এল এস হাসপাতালের আধিকারিক ও চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী পরবর্তী সময়ে আইএলএস হাসপাতালের ক্যান্সার কেয়ার ফেসিলিটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গুলি পরিদর্শন করেন। আগামী দিন আইএলএস হাসপাতাল রাজ্যের রোগীদের জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য