স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ মে : শনিবার আগরতলা শান্তিপাড়া স্থিত কুড়ি নং ওয়ার্ডে এক রক্তদান চক্ষু শিবিরে শিবিরের আয়োজন করা হয়। শান্তিপাড়া প্রবীণ নাগরিক সংঘ এবং অশ্বিনী নেত্রালয়ের যৌথ উদ্যোগে চক্ষু চিকিৎসা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তারপর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ রয়েছে অশ্বিনী নেত্রালয়ের।
তারা গত দুবছর আগে ত্রিপুরাতে সেন্টার চালু করার পর বর্তমানে অনেকটাই আধুনিক পরিষেবা দিয়ে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিভিন্ন কারণবশত চোখের সমস্যা হয়। আজকের এই শিবির থেকে এ বিষয়ে অবগত হওয়া যাবে। পাশাপাশি যারা মধুমেহ রোগে আক্রান্ত কিংবা ৪০ -এর অধিক বয়স তাদের অবশ্যই চোখের পরীক্ষা করা প্রয়োজন। সুতরাং এ ধরনের শিবির অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন প্রবীণ নাগরিকরা মাঝেমধ্যে সকলের কাছে বোঝা বলে মনে হয়। কিন্তু এ ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন প্রবীন নাগরিক ঘরে কিংবা বাইরে যেখানেই হোক না কেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান রেখে সকলের এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি সকলের সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন বৃদ্ধাশ্রম রাজ্যে তৈরি করতে না হয় তার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানার মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন রাজ্যের বিরোধীরা পরোক্ষভাবে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অপমান করেন। শুধু তাই নয় মানুষের মধ্যে তারা জিবি হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চায়। প্রতিদিন জিবি হাসপাতাল থেকে বহু মানুষ হাসিমুখে বাড়ি ফিরছে, মাঝেমধ্যে দু একটি ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করে তারা।
তারপরই মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য বাড়িঘর বিক্রি করে রাজ্যের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে। আর বিরোধীরা কিভাবে জিবি হাসপাতালের উপর থেকে আস্থা ফেরানো যায় সেই চিন্তা করে। এ পেছনে মূলত একটাই কারণ, বিরোধীরা রাজনীতির কারণে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত চক্ষু শিবির ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ধরনের সামাজিক কর্মসূচি প্রশংসা করেন তিনি। আয়োজিত শিবিরে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না দত্ত সহ অন্যান্যরা।