স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ মে :রাজ্যের মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১০ দফা দাবিতে ত্রিপুরা রাজ্য মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে একটি দাবি সনদ তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার আগরতলা স্থিত আম্বেদকর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান সংগঠনের নেতৃত্ব সুধন দাস।
তিনি বলেন অন্যতম দাবি হলো মৎস্যজীবি জেলেদের জলের ব্যবহারের অধিকার দেওয়া। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সরকারি এবং আধা সরকারি জলাশয়ে মৎস্যজীবী সমন্বয় সমিতি গঠন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রথম নেওয়া হয়। বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে এগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি গুলিতে এখন আর নির্বাচন হয় না। কারণ জলাশয় তাদের হাতে নেই। যারা মাফিয়া তারা অন্যভাবে জবরদখল করছে। তাই বিনা টেন্ডারে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গুলিকে জলাশয় দিতে হবে। পাশাপাশি সমবায় সমিতি গুলিকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর নির্বাচন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে যারা অন্যের পুকুর বা জলাশয়ে মাছ ধরে তাদের ধরা মাছের বিক্রয় মূল্যের ২৫ শতাংশ অথবা প্রত্যেকের দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা করতে হবে। তৃতীয় দাবি হচ্ছে, মৎস্যজীবী সহ গরিব মানুষদের ঘর নির্মাণ করে দিতে হবে, এর জন্য ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। নাহলে প্রকৃত অর্থে ঘর নির্মাণ যায় না।
অন্যতম বিশেষ দাবি হল মাছের বাজারগুলি স্বাস্থ্যসম্মত ও আধুনিক সম্মত করতে হবে। বিগত বামফ্রন্ট সরকার সে অনুযায়ী কাজ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বাজারগুলি আবার আগের অবস্থায় নিয়ে পৌঁছাচ্ছে। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন বাজার হয়ে আছে। এছাড়াও অন্যতম দাবী হলো, মৎস্যজীবী সহ ভাতা প্রাপ্যকদের নাম কেটে দিয়েছেন বর্তমান সরকারের আমলে। তাদের নাম পুনরায় তুলে ৫০০০ টাকা করে ভাতা দিতে হবে। এই দাবিগুলি রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আবার রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে দাবি গুলি উত্থাপন করা হবে। নাহলে মৎস্যজীবী অংশের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।