স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১০ এপ্রিল : ২০১৮ সালে বিধানসভার নির্বাচনের আগে দেশের জনগণের টাকায় বিমানে চড়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবং তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ রাজ্যে এসে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা বলেছিলেন ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে, ৩ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষণা হবে। তারপর ডাবল ইঞ্জিন সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠক করে বছরে ২০০ দিনের রেগার কাজের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি।
যদি ছিটেফোঁটা প্রতিশ্রুতি পূরণ হতো তাহলেও গ্রামাঞ্চলের কঙ্কালসার অবস্থা থাকতো না। বৃহস্পতিবার তেলিয়ামুড়া স্থিত সিপিআইএম দলীয় কার্যালয়ের সামনে সি আই টি ইউ, এ আই কে এস, জি এম পি -র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সভায় এই কথা বলেন সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদক তথা নয়া পলিটব্যুরোর সদস্য জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আলোচনা করতে গিয়ে বর্তমান সরকারের পরিচালন ব্যবস্থাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন ক্ষমতায় আসার আগে যেভাবে প্রতিশ্রুতির বন্যা দিয়েছিল বিজেপি, তা পূরণ করেনি। জিতেন্দ্র চৌধুরী দাবি করেন বর্তমান সময়ে একদিকে বেকাররা দিশাহীন, নেশার বাড়বাড়ন্তে আর্থসামাজিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, গ্রাম ত্রিপুরার মানুষ দিশাহীন, আরেকদিকে গুটিকতক মানুষ সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের মধ্য দিয়ে মানুষের রায়কে পদদলিত করে ক্ষমতায় বসে থেকে সাধারণ মানুষকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
তিনি আরো বলেন, রাজ্যের আরক্ষা বাহিনীকে দুর্বল করে দিয়ে এবং মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে নেশা কারবারীদের হাতে মানুষের ভাগ্য তুলে দিচ্ছে। এবং গোটা রাজ্যের মধ্যে মুষ্টিমেয় লোকের হাতে আজ কালো টাকা ও সংবিধান বহির্ভূত ক্ষমতা। এবং তারা ছাপ্পা ভোটের জনপ্রতিনিধিদের থেকেও বেশি ক্ষমতাবান। তারা আবার শাসক দলের দেবতুল্য কার্যকর্তা। তিনি আরো বলেন আজকে ত্রিপুরার যুবকরা দিশাহীন, তাদের পরিকল্পিতভাবে নেশার দিকে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এবং গত সাত বছরে নতুন করে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলেও শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত মদের দোকান খুলে যাওয়া হয়েছে। এভাবেই আক্রমণ করেন তিনি। আগামী দিনে জনজীবনের জ্বলন্ত সমস্যা নিরসনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সমস্ত অংশের সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। জিতেন্দ্র চৌধুরী ছাড়াও দলের মহকুমা সম্পাদক সুভাষ নাথ, রাজ্য নেতৃত্ব হেমন্ত কুমার জমাতিয়া, প্রাক্তন বিধায়ক মনীন্দ্র চন্দ্র দাস সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সিপিআইএম -এর পক্ষ থেকে আগরতলা শহরের মধ্যেও জনগণের জ্বলন্ত সমস্যা গুলি নিয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হয়েছে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে। মিছিলটি শুরু হয় ড্রপগেট থেকে। শেষ হয় নাগেরজলায় এসে।