স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ মে : ২০১৮ সালের পর চার বছরের এই সরকারের আমলে ত্রিপুরাকে সমগ্র দেশ ও বিদেশের মানুষ চিনেছে। নিজস্ব পরিচিতি পেয়েছে রাজ্য। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষ তাদের পরিচয় পেয়েছে। রবিবার আজাদিকা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে টি আর এল এম ও সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে এবং ডোনার মন্ত্রক ও এন ই সি-র সহযোগিতায় রবীন্দ্র ভবনে উত্তর পূর্বাঞ্চল উৎসবে বক্তব্য রেখে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। মহিলাদের আর্থিক স্বশক্তিকরণ করতে হলে তাদের ব্যাঙ্কমুখী করতে হবে।
আগে ব্যাঙ্কে একাউন্ট খোলা নিয়ে মহিলারা সমস্যায় পড়তেন। প্রধানমন্ত্রী বিনা মূল্যে জনধন যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্কে একাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশে ৪৪ কোটি জনধন যোজনার একাউন্ট আছে। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ মহিলা। কোভিডের সময় জনধন একাউন্ট যাদের আছে তাদের ৫০০ টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। ৭০ শতাংশ পেয়েছে মহিলারা। উত্তর পূর্ব ভারতের পরিচয় আগে ছিল না। আসামকে বাদ দিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষ পরিচয়হীনতায় ভুগত। ২০১৮ সালের পর চার বছরের এই সরকারের আমলে ত্রিপুরাকে সমগ্র দেশ ও বিদেশের মানুষ চিনেছে। নিজস্ব পরিচিতি পেয়েছে রাজ্য। উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষ তাদের পরিচয় পেয়েছে। শেষ ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসি। নিউ ইঞ্জিন বলে সম্বোধন করছেন বলে জানান তিনি।
উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষ আবেগ প্রবন। আর যারা দিল্লি থাকেন তারা প্রফেশনাল। উত্তর পূর্বের মানুষের পরিচয় ভু রাজনৈতিক নয়। পরিচয় ভু সাংস্কৃতিক। দেশ ও রাজ্য নির্মাণে যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করছে তা প্রধানমন্ত্রীর ৫ ট্রিলিয়ান ডলারের অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে জানান তিনি। মহিলাদের স্বশক্তি করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলা স্ব শক্তিশালী হলে একটি পরিবার, গ্রাম, পঞ্চায়েত, রাজ্য ও দেশকে শক্তিশালী করে। তাই কেন্দ্র ও রাজ্যের পরিকল্পনার গুলির অর্ধেক মহিলা কেন্দ্রীয়। গ্রামীন অর্থ নীতির বিকাশের ক্ষেত্রে স্ব সহায়ক দল থাকা আবশ্যক। এই কাজে মহিলাদের যুক্ত করতে হবে। গত চার বছরে সব চাইতে বেশী স্ব সহায়ক দল গঠিত হয়েছে ত্রিপুরায়। এর সঙ্গে সাড়ে তিন লক্ষ মহিলা যুক্ত আছে বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন দেশ বিভাজনের পর উত্তর পূর্বাঞ্চলকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। মহিলাদের স্ব শক্তি করনের জন্য সরকার কাজ করছে। জনধন যোজনা চালু করার সময় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বিকেন্দ্রী করণের জন্য এই উদ্যোগ বলে জানান তিনি। এদিন সাফল্যের জন্য মহিলাদের সংবর্ধিত করা হয়। তুলে দেওয়া হয় স্মারক ও শংসাপত্র। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সফল ৫০ জন মহিলাদের নিয়ে একটি বইয়ের আবরণ উন্মোচন করেন অতিথিরা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রশাসনিক আধিকারিক ও সাধারন মানুষ এই উৎসবে অংশ নেন। এদিনের বিষয় বস্তু ছিল উত্তর পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে মহিলাদের ভূমিকা। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শান্তনা চাকমা, সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, স্বাস্থ্য সচিব জে কে সিনহা, জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন সহ অন্যান্যরা।