স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ মে : বর্তমান সরকার মহিলা স্বশক্তিকরনের বিষয়ে অনেক বেশী আন্তরিক ও তা বাস্তবায়িত করছে। কিছু দিন আগে শ্বারাষ্ট্র মন্ত্রী এসে ঘোষণা করে গেছেন রাজ্যে চাকুরীর ক্ষেত্রে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তের কথা। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে মহিলাদের ঋনের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ সুদ কম দিতে হবে।
সরকারী স্টল গুলিতে মহিলাদের ব্যবসার জন্য ৫০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দেওয়া হবে ৫০ শতাংশ অর্থ। মহিলাদের স্টার্ট আপের ক্ষেত্রেও থাকছে বিশেষ সুবিধা। রবিবার নর্থ ইষ্ট ফ্যাস্টিবেলের অঙ্গ হিসাবে রাজ্য অতিথি শালায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা। গ্রামীন এলাকা গুলিতে জলের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। এই সমস্যা নিরসনের জন্য সরকার বাড়ি বাড়ি পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিচ্ছে। এতে মহিলারা অনেকটাই লাভবান হবেন। এই সমালোচকরা সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আগে কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হল না। আগের সরকার ৫০ শতাংশ করে দিলে , বর্তমান সরকার বাকী ৫০ শতাংশ করে দিলে ১০০ শতাংশ হয়ে যেত। গ্রামীন এলাকায় মহিলারা বসে ব্যবসা করেন। তাদের সুবিধার জন্য টেডা নাবার্ড থেকে ঋন নিয়ে সোলার লাইট বসাচ্ছে। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী। সুপার স্পেশালিটি ১০০ বেডেড ওয়ার্ড, কর্মরত মহিলাদের জন্য ৪ টি নতুন হোস্টেল করা হচ্ছে।
সব থানাতে মহিলা হেল্প ডেস্ক রাখা হবে। নিরাপত্তার জন্য নির্ভয়া ফান্ড রাখা হয়েছে। ৪ হাজার থেকে বেড়ে বর্তমানে ৩৩ হাজার স্ব সহায়ক দল হয়েছে রাজ্যে। ৪০৮.৮ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋন দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মণ। ২০২২ সালের ২৮ এপ্রিল উত্তর পূর্বাঞ্চল উৎসব শুরু হয়। চলবে ৪ মে পর্যন্ত। বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন বিষয়ের উপর অনুষ্ঠান হবে। ৪ মে রাষ্ট্রপতি গৌহাটিতে এই উৎসবের সমাপ্তি করবেন বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী। অর্ধেক সমাজকে বসিয়ে রাখলে ত্রিপুরার উন্নতি সম্ভব নয়। একজন মহিলাকে শিক্ষিত করা মানে পরিবারকে সিক্ষিত করা। আগে থেকে মহিলাদের উপস্থিতি বেড়েছে। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে মায়েদের বড় ভূমিকা নিতে হবে বলে জানান তিনি।