স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ অক্টোবর : ড্রাগসের প্রান গেলে এক যুবকের। জানা যায় ড্রাগসের নেশার ঘোরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত চার যুবক। এর মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু হলেও বাকী তিন যুবকের প্রাণ বেঁচে যায়। কি কারণে আত্মহত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। মৃত যুবকের নাম সঞ্জিত ত্রিপুরা(২১)। বাড়ি শ্রীনগরের পোয়ংবাড়ি এলাকায়। তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে সঞ্জিত ত্রিপুরাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বন্ধুরা।
মৃতের বন্ধুদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বলে জানান মৃতের ভাই ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা । অভিযুক্তরা মুজিন্দ্র ত্রিপুরা , হৃত্বিক রোশন ত্রিপুরা, অভিজিৎ ত্রিপুরা। বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে কখন যে সর্ব নাশা ড্রাগসের কবলে পড়ে যায় সঞ্জিত ঘুনাক্ষর টের পায়নি তার পরিবার। সঞ্জিতের বন্ধুদের বাড়িও শ্রীনগরের পোয়ংবাড়ি এলাকায়। জানা যায় ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয় সঞ্জিত ত্রিপুরা। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসছে না দেখে সঞ্জিতের মা ও ভাই অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করে । এমনকি সঞ্জিতের বন্ধুদের বাড়িতেও খোঁজা খুঁজি করার পর পাওয়া যায় নি । অবশেষে রাত এগারোটা নাগাদ শ্রীনগর পোয়াং বাড়ি এলাকায় মধুবাড়ির সেগুন বাগান এলাকা থেকে সঞ্জিতের ভাই ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা সহ তার পরিবার উদ্ধার করে সঞ্জিত ত্রিপুরাকে। সাথে সাথে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরই সঞ্জিতের গুরুতর অবস্থা দেখে বিলোনিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয় , বিলোনিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সঞ্জিত । মৃত সঞ্জিত ত্রিপুরার ভাই জানান , সঞ্জিতকে যে জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে , সেখানেও ড্রাগস সহ ছোট ছোট কৌটা ও লাল টেবলেট দেখতে পেয়েছে । সঞ্জিতের ভাই ধর্মেন্দ্র ত্রিপুরা আরো বলেন সর্বনাশা ড্রাগসের কবলে পড়ে যাতে সঞ্জিতের মতো বে ঘোরে প্রান না যায়, সেই ব্যাপারে আইনের দরজায় কড়া নাড়াবেন ।