Saturday, February 8, 2025
বাড়িরাজ্যরাজ্যপাল সকাশে রাজভবনে সুশান্ত

রাজ্যপাল সকাশে রাজভবনে সুশান্ত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ অক্টোবর : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনে  রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ন আর্য্য’র সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে মিলিত হলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সুশান্ত চৌধুরী। তিনি রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য্য’র শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, তাঁর জ্ঞানসম্পন্ন ও যোগ্য দিকনির্দেশনায় ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের ৩৭ লক্ষ মানুষের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্রিপুরার জাতি-জনজাতিদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যা ত্রিপুরার অমূল্য সম্পদ সেগুলোর সমৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবং রাজ্যের সকল জনজাতি সম্প্রদায়ের বিকাশ ও তাদের পরম্পরাকে সমৃদ্ধ করার জন্য সর্বোতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এছাড়াও মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজ্যপাল-কে ত্রিপুরার বিভিন্ন সঙ্গীত ও নৃত্য, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য, উৎসব ও খেলাধুলা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত করেন। উভয়ের মধ্যে কৃষ্টি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পরম্পরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

ত্রিপুরায় একটি “কালচারাল হাব” গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে প্রকল্প প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়েও তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী রাজ্যপাল-কে বিস্তারিতভাবে অবগত করেন। রাজ্যের চিরাচরিত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতিকে একসাথে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়েই ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কালচারাল হাব গড়ে তোলার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে রাজ্যপাল-কে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এই প্রকল্পটি রূপায়িত হলে সংস্কৃতি ও পর্যটন উভয় ক্ষেত্রেই ত্রিপুরা লাভান্বিত হবে। রাজ্যের বিকাশের বহুমুখী সম্ভাবনার দ্বার  খোলে যাবে। রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য ত্রিপুরার বহুমুখী সংস্কৃতির বিকাশে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কাজে সন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত “কালচারাল হাব” প্রকল্পটির অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও নীতি আয়োগের সাথে আলোচনা করে ওনার তরফ থেকে যা যা করণীয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন।

রাজ্যপাল তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীকে আরও বলেন, মিশ্র সংস্কৃতির রাজ্য ত্রিপুরায়  জাতি-জনজাতি সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন ঘটেছে। এই রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি, উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক বিকাশে সকল ধরণের সহযোগিতার হাত তিনি বাড়িয়ে দেবেন এবং ত্রিপুরার গৌরবোজ্জ্বল সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তোলে ধরতে ওনার তরফ থেকে যা যা করণীয় তার সবটাই করবেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য