স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ অক্টোবর : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজভবনে রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ন আর্য্য’র সাথে সৌজন্যমূলক সাক্ষাতে মিলিত হলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সুশান্ত চৌধুরী। তিনি রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য্য’র শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, তাঁর জ্ঞানসম্পন্ন ও যোগ্য দিকনির্দেশনায় ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের ৩৭ লক্ষ মানুষের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্রিপুরার জাতি-জনজাতিদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য যা ত্রিপুরার অমূল্য সম্পদ সেগুলোর সমৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এবং রাজ্যের সকল জনজাতি সম্প্রদায়ের বিকাশ ও তাদের পরম্পরাকে সমৃদ্ধ করার জন্য সর্বোতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এছাড়াও মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী রাজ্যপাল-কে ত্রিপুরার বিভিন্ন সঙ্গীত ও নৃত্য, ভাস্কর্য ও স্থাপত্য, উৎসব ও খেলাধুলা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত করেন। উভয়ের মধ্যে কৃষ্টি সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পরম্পরা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ত্রিপুরায় একটি “কালচারাল হাব” গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে প্রকল্প প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়েও তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী রাজ্যপাল-কে বিস্তারিতভাবে অবগত করেন। রাজ্যের চিরাচরিত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতিকে একসাথে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়েই ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি কালচারাল হাব গড়ে তোলার প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে রাজ্যপাল-কে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এই প্রকল্পটি রূপায়িত হলে সংস্কৃতি ও পর্যটন উভয় ক্ষেত্রেই ত্রিপুরা লাভান্বিত হবে। রাজ্যের বিকাশের বহুমুখী সম্ভাবনার দ্বার খোলে যাবে। রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্য ত্রিপুরার বহুমুখী সংস্কৃতির বিকাশে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কাজে সন্তোষ ব্যক্ত করেন এবং রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত “কালচারাল হাব” প্রকল্পটির অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ও নীতি আয়োগের সাথে আলোচনা করে ওনার তরফ থেকে যা যা করণীয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন।
রাজ্যপাল তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রীকে আরও বলেন, মিশ্র সংস্কৃতির রাজ্য ত্রিপুরায় জাতি-জনজাতি সম্প্রদায়ের কৃষ্টি-সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন ঘটেছে। এই রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি, উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক বিকাশে সকল ধরণের সহযোগিতার হাত তিনি বাড়িয়ে দেবেন এবং ত্রিপুরার গৌরবোজ্জ্বল সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তোলে ধরতে ওনার তরফ থেকে যা যা করণীয় তার সবটাই করবেন।