Friday, March 21, 2025
বাড়িরাজ্যপঞ্চায়েতে স্বচ্ছতা এসেছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

পঞ্চায়েতে স্বচ্ছতা এসেছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৭ মার্চ : শুক্রবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার পুরষ্কার বিতরণ কর্মসূচি এবং গ্রামীণ স্থানীয় সংস্থাগুলিতে ৪৭৫টি কম্পিউটার বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছে দেশের সমস্ত পঞ্চায়েত যাতে মহিলা দ্বারা পরিচালিত হয়। ত্রিপুরার চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি সম্পূর্ণভাবে মহিলা দ্বারা পরিচালিত। দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মহিলা পরিচালিত চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে যাতে সকল মহিলা আধিকারিকদের দেওয়া হয়।

 মহিলা দ্বারা চারটি পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী কেউ পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ভবনে যাতে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়। তাহলে সমস্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। প্রয়োজনে তথ্য সামনে আনা যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধীদের নাম উল্লেখ না করে বলেন আগে যারা বলতো কম্পিউটার এনে লাভ কি, তারাই এখন কম্পিউটার ছাড়া চলতে পারে না। প্রযুক্তির যুগে পঞ্চায়েত পর্যন্ত কম্পিউটার পৌঁছে দিয়ে স্বচ্ছতা, ট্রান্সপারেন্সি বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবং কাজের ক্ষেত্রেও গতি আসবে। তাহলেই ডিজিটাল পঞ্চায়েত গড়ে উঠবে। আর ডিজিটাল পঞ্চায়েত মানেই শক্তিশালী পঞ্চায়েত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন পঞ্চায়েত থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত পর্যন্ত বর্তমান সরকারের আমলে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম ত্রিপুরা রাজ্যে ই- পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এটা অত্যন্ত গর্বের বলে দাবি করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পঞ্চায়েত কর্মীরা সঠিকভাবে কাজ করায় আগামী দিন গ্রামীণ এলাকা মাইল ফলক হবে। আজকে যেসব পঞ্চায়েত পুরস্কৃত হয়নি তাদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তারা যাতে সঠিকভাবে কাজ জারি রাখে। তাহলে আগামী দিন সেই পঞ্চায়েতগুলোকেও পুরস্কৃত করা যাবে। এ ধরনের পুরস্কার বিতরণের মূল উদ্দেশ্য হলো কাজের উৎসাহ বৃদ্ধি করা। আরো বলেন প্রশংসা এবং পুরস্কার পাওয়া বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো ট্রান্সপারেন্সি। ট্রান্সপারেন্সি যখন থাকবে তখন স্বীকৃতি পাওয়া যায়। দেশের মধ্যে সুনাম অর্জন হয়। মুখ্যমন্ত্রী উৎসাহিত করে বলেন, দেশের আড়াই লক্ষ পঞ্চায়েতের মধ্যে যখন ত্রিপুরার কোন পঞ্চায়েত প্রথম স্থান অধিকার করে তখন বুঝতে হবে রাজ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সঠিকভাবে পরিচালনা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্বীকৃতি বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্যমন্ত্রী পুরস্কৃত পঞ্চায়েতগুলোর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সহ সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য