Friday, March 21, 2025
বাড়িরাজ্যত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ বাম ছাত্র সংগঠনের

ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ বাম ছাত্র সংগঠনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৭ মার্চ : ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে এস এফ আই এবং টি এস ইউ। শুক্রবার রাজধানীর ছাত্র যুব ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের দুর্নীতির অভিযোগের জবাব চাইতে যায় তারা। এস এফ আই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের নম্বর কম দিয়ে সাপ্লিমেন্টারি পেতে বাধ্য করে পরে আবার উৎকোচের বিনিময়ে পাশ করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে সক্রিয় থেকেছেন ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের শিক্ষিকা।

এবছর এই অভিযোগগুলো সামনে এসেছে। এবং ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষিকার সঙ্গে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্ত। এ বিষয় নিয়ে মেডিকেল শিক্ষার অধিকর্তার কাছে এসএফআই এবং টিএসইউ -র একটি প্রতিনিধি দল গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলেন। মেডিকেল শিক্ষা অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দিয়ে দাবি করা হয়েছিল একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে যাতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হয়। এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি অভিযোগ। কারণ এ ধরনের কার্যকলাপে মেধার দিক দিয়ে অগ্রসর ছাত্রছাত্রীরা পিছিয়ে যায়। সুতরাং এটা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। মেডিকেল অধিকর্তা আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে বলেছেন নির্দিষ্ট রিপোর্ট যাতে উনার কাছে জমা দেন। এর জন্য তিনি সময়সীমা তিন দিন বেঁধে দিয়েছিলেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। অথচ এখন পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে কেউ মুখ খুলছে না।

বরং অভিযুক্ত শিক্ষিকা বর্তমানে চাকুরী ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এবং তাকে সহযোগিতা করেছে সরকার। এখন সরকার গোটা ঘটনা ধাপা চাপা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। তাই দাবি করা হচ্ছে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা দ্বারা যাতে বিষয়টি তদন্ত করা হয়। কারণ আগামী দিন এই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিকভাবে পড়াশোনা হবে কিনা সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, যদি এই ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা সামনে উঠে না আসতো তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মুন্সিয়ানার সাথে ধাপাচাপা দেওয়ার কাজটা করতে পারতেন। তাই এখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এটা তদন্ত করা হবে। অর্থাৎ নিজেকে বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী এগুলি বলছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সবকিছুই জানেন। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত করতে স্বাস্থ্য দপ্তরের কিংবা পুলিশ প্রশাসনের কোন উচ্চপদস্থ আধিকারিক নয়। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির মাধ্যমে তদন্তের দাবি করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিক্ষোভ মিছিলটি এদিন আগরতলা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন টিএসইউ -র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নেতাজী দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক সুজিৎ ত্রিপুরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য