স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ আগস্ট : ঋষ্যমুখ ব্লকের অন্তগত হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঋষ্যমুখ হাসপাতালের ভেতর বামফ্রন্ট সরকারের সময়তে কয়েকটি ষ্টল নির্মান করা হয়। ষ্টল গুলির হাসপাতালের জায়গায় তৈরী করা হলেও ষ্টল গুলিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাউন্ডারি দেয়নি। রাজ্যে বিজেপি জোট সরকার প্রতিষ্ঠার পর ঋষ্যমুখের পরাজিত এক বিজেপি পার্থীর ইশারায় নিজের ভাই পরিবার বর্গের স্বার্থের জন্য ঋষ্যমুখ হাসাপাতালকে চাপ দিয়ে ঔষধ দোকান সহ চারটি বেকার ষ্টলকে হাসপাতালের পাকা বাউন্ডারি দেওয়াল দিয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে বেকার ষ্টলগুলি একটি ঔষধের দোকান, দুটি চা টিফিনের দোকান এবং একটি সেলুন। হাসপাতালের ভেতর চলছে জমজমিয়ে ব্যাবসা। সরকারি বেকার ষ্টল গুলি হাসপাতালে ভিতরে বাউন্ডারি দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়ার ফলে হাসপাতালকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঔষধ দোকান সহ অনান্য দোকান গুলিতে ক্রেতার দেখার নেই। অভিযোগ হাসপাতালের কতিপয় কর্মীদের যোগ সাজসে কোন রকম টেন্ডার ছাড়াই হাসপাতালের ভিতর বেসরকারী ঔষধ দোকান সহ চা টিফিন ও সেলুন দোকান খুলে দেদার ব্যাবসা চালাচ্ছে। যার কমিশন যাচ্ছে জনৈক প্রভাবশালি বিজেপি নেতার পকেটে।
ঋষ্যমুখ হাসপাতালে বেআইনি ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান চালু করার বিরুদ্ধে চেলেঞ্জ জানিয়ে হরিপুরের প্রনব দত্ত নামে এক ব্যাক্তি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর ডাব্লি পি (সি) ৬২১/২০২১। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মামলায় রায়ে উচ্চ আদালতের বিচারপতি অরিন্দম লোধ ঋষ্যমুখ হাসপাতাল তথা স্বাস্থ্য দপ্তরকে নির্দেশ জারি করে বলেন ঋষ্যমুখ হাসপাতালে বেআইনি ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে অবিলম্বে বন্ধ করতে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও হাসপাতালে চলছে বেআইনি ব্যাবসা। আদালতের রায়কে দ্রুত কার্যকর করার জন্য প্রনব দত্ত স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলা শাসক, বিলোনীয়া মহকুমা শাসক, হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, এস ডি এম ও বিলোনীয়া এবং দক্ষিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নিকট চিঠি দিয়ে আবেদন করেন। বহু বার আবেদন করে এবং আদালতের রায় থাকা সত্বেও ঋষ্যমুখ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তর, প্রশাসন নির্বিকার হয়ে মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। সাধারন ব্যাবসায়ীরা গত ছয় বৎসর ধরে বিজেপি নেতার দাদাগিরিতে নিঃস্ব হয়ে পথে বসার সময় হয়েছে।